প্রতীকী ছবি।
অগস্ট থেকে প্রতি মাসে আলাদা করে দিনে ৪ লক্ষ ব্যারেল উত্তোলন বাড়াতে একমত হল তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। পাশাপাশি, পরের বছর মে থেকে পাঁচটি দেশের তেল উত্তোলনে চাপানো সীমা ধাপে ধাপে বাড়াতেও রাজি হয়েছে তারা। দেশগুলি হল ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কুয়েত ও রাশিয়া। এর জেরে ভারতে তেলের দাম কমবে কি না, সে দিকেই এখন চোখ সকলের।
ভারতে পাঁচ রাজ্যে ভোট মেটার পর থেকেই রেকর্ড গড়ে টানা বাড়ছে তেলের দাম। সোমবার অবশ্য তা একই থাকছে। জ্বালানির আগুন দরের ছেঁকা লাগছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং যাতায়াতের খরচে। শুল্ক কমানোর দাবি উঠলেও, তাতে কান না-দিয়ে পেট্রল ও ডিজেলের রেকর্ড দরের জন্য বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলকেই দায়ী করছে মোদী সরকার। ওপেক ও তাদের সহযোগী দেশগুলির কাছে বারবার দাম কমানোর আর্জিও জানাচ্ছিল নয়াদিল্লি। এ বার তেলের উত্তোলন বাড়ায় যদি দর কমে, তা মানুষকে সামান্য হলেও স্বস্তি দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ে বিশ্ব জুড়ে তলানিতে নেমেছিল তেলের চাহিদা। যার জেরে এক সময়ে অশোধিত তেল নাম শূন্যেরও নীচে। তার পরেই দর বাড়াতে দিনে রেকর্ড ১ কোটি ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটাইয়ের কথা জানায় ওপেক। পরবর্তীকালে অবশ্য উত্তোলন ৪২ লক্ষ ব্যারেল বাড়িয়েছে তারা। এ বার তা-ই আরও বাড়ানোর পথে হাঁটছে সংগঠনটি।