প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা সামলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারত, দেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে মাসিক রিপোর্টে ফের এই দাবি করল মোদী সরকার। তবে চলতি অর্থবর্ষে পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও, সেই সঙ্গে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনের কাঁটার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। পাশাপাশি তেলের চড়া দরের জন্য যে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরে ১২.৫ শতাংশে উঠেছিল, সে কথাও জানিয়েছে তারা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, অতিমারির আগেরই অর্থনীতি ঝিমোচ্ছিল। গত বারের নিচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বৃদ্ধির ছবি দেখা আদৌ কতটা সঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রিপোর্টে যদিও অর্থ মন্ত্রকের দাবি, ২০২১-২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের বৃদ্ধির হার ৮.৪%। ২০১৯-২০ সালের চেয়েও তা অনেকটা বেশি। বাজারের পরিস্থিতি, প্রতিষেধক বণ্টন, চাহিদা বৃদ্ধি ও সরকারি পদক্ষেপের জন্য আগামী দিনে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ওমিক্রন চ্যালেঞ্জ ঠিকই। তবে সে ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ও আরও বেশি মানুষকে টিকাদানেই ভরসা রাখছে তারা।
এ দিকে, অর্থনীতির চাকা ঘোরার ক্ষেত্রে আরও একটা বড় সমস্যা পেট্রল-ডিজ়েলের চড়া দর। সেটাই যে মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার অন্যতম কারণ, তা মানছে কেন্দ্র। তবে তাদের যুক্তি, এ জন্য দায়ী মূলত বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দর। নভেম্বরের শুরুতে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য কর ছাঁটায় মূল্যবৃদ্ধির উপর চাপ আগামী দিনে কমবে বলে ধারণা তাদের।