আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বাজারে মাথা নামানো তেলের দরকে বাড়াতে নভেম্বর থেকে দিনে ২০ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রফতানিকারী দেশগুলির বৃহত্তর গোষ্ঠী ওপেক প্লাস। যার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাশিয়া। এর জন্য বুধবার সৌদিকে ফের হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। তাদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ও ‘দূরদর্শিতার অভাব’। এর ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রাশিয়া লাভবান হবে। ক্ষতি হবে আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের জানান, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সারা বিশ্বের মতো আমেরিকারও এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি। সামনে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের আগে যা চাপে রেখেছে বাইডেনকে। এই অবস্থায় সরবরাহ ছাঁটাইয়ের ফলে তেলের দাম আরও বাড়লে তা মূল্যবৃদ্ধিকে আরও মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করবে। বাইডেনের উপরে চাপ আরও বাড়বে। আমেরিকার প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মজুত ভান্ডার থেকে তেল ছাড়তে পারে আমেরিকা। যেখানে প্রায় ৪০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি রয়েছে।
বিশ্বে দৈনিক জ্বালানির আনুমানিক চাহিদা ১০ কোটি ব্যারেল। ২০ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটাইয়ের অর্থ সরবরাহ প্রায় ২% কমে যাওয়া। দামের উপরে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।