কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। --ফাইল ছবি।
মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হবে মাথাপিছু আয়। শুক্রবার, ৪ অক্টোবর তেমনই চা়ঞ্চল্যকর দাবি করলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি, নাম না করে কংগ্রেস আমলের অর্থনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাঠামোগত সংস্কারের ভূয়সী প্রশংসা।
এ দিন ‘কৌটিল্য ইকোনমিক কনক্লেভ’-র তৃতীয় সংস্করণে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৩০ ডলারে পৌঁছতে ৭৫ বছর লেগে গিয়েছে। কিন্তু এতে আর দু’হাজার ডলার যোগ হতে মাত্র পাঁচ বছর সময় লাগবে। নির্মলার দাবি, গত ১০ বছরে কেন্দ্র যে কাঠামোগত সংস্কার করেছে, তা আগামী দশকগুলিতে আম জনতার জীবনযাত্রার মানকে উচ্চতর জায়গায় নিয়ে যাবে।
ওই আলোচনাচক্রে দেশের অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এখানকার জটিল অর্থনীতির সূচক সাম্প্রতিক দশকগুলিতে লম্বা লাফ দিতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দশম থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। আর সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই এটা সম্ভব হয়েছে।
‘‘৭৫ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৩০ ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফ) অনুমান, আর পাঁচ বছরের মধ্যেই এতে আরও দু’হাজার ডলার যোগ হবে। ফলে আম জনতার জীবনযাত্রার মানে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আগামী দিনে সুনির্দিষ্ট একটি আর্থিক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে ভারতীয়রা।’’ অনুষ্ঠানে বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
কী ভাবে মাথাপিছু গড় আয় দ্বিগুণ হবে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। যা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির মূল কারণ হতে চলেছে। অন্য দিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে সংঘাত। যা সমৃদ্ধশালী বহু দেশের অর্থনীতিকে তছনছ করতে পারে।’’
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পিছনে গ্রামীণ অর্থনীতির বড় হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী। ‘‘গ্রামীণ ভারতে আর্থিক বৈষমের সূচক ০.২৮৩-র থেকে ০.২৬৬-তে নেমে এসেছে। শহরের ক্ষেত্রে এই সূচক নেমেছে ০.৩৬৩ থেকে ০.৩১৪-তে।’’ অনুষ্ঠানে বলেছেন নির্মলা।