—প্রতীকী ছবি।
রক্তাক্ত শেয়ার বাজার। দেড় হাজার পয়েন্টেরও বেশি পড়েছে সেনসেক্স। হু হু করে নেমেছে নিফটির সূচকও। এই আবহে আশার আলো দেখাচ্ছে একমাত্র ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও। তালিকাভুক্তির দিনে মোটা মুনাফা করছেন এর লগ্নিকারীরা। চলতি বছরে একসঙ্গে আরও ১৩টি সংস্থার আইপিও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সম্প্রতি শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির কাছে আইপিও আনার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে ১৩টি সংস্থা। এরা সবাই সেবির থেকে সবুজ সংকেত পেলে আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে আট হাজার কোটি টাকা তুলবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
সেবির কাছে জমা দেওয়া খসড়া নথিতে অধিকাংশ সংস্থাই অফার ফর সেল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে অনুমোদন মিললে এগুলিতে খুচরো লগ্নিকারীদের আবেদন করার ক্ষেত্রে কোন বাধাই থাকবে না। আইপিও আনতে সেবিতে খসড়া নথি জমা করেছে বিক্রম সোলার, আদিত্য ইনফোটেক ও বরিন্দ্র কনস্ট্রাকশন।
অন্যান্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে আজাক্সা ইঞ্জিনিয়ারিং, রাহি ইনফ্রাটেক, বিক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, মিডওয়েস্ট, ভিনি কর্পোরেশন, সম্ভাব স্টিল টিউবস, জ্যারো ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, অল টাইম প্লাস্টিক লিমিটেড, স্কোডা টিউবস এবং ডেভ এক্সিলারেটর। ১৩টি সংস্থা একসঙ্গে সেবির কাছে আবেদন করায় এগুলির আইপিওতে আবেদনের জানলা প্রায় একই সময়ে খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১৪৪টি সংস্থা। এর ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮টি সংস্থার আইপিও ইতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। সেবির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়সীমার মধ্যে ২৬টি আইপিওর তালিকাভুক্তির দিনে মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশ বা তার বেশি। পরে অবশ্য সেই দর কিছুটা নেমে যায়। তা সত্ত্বেও আইপিও নিয়ে লগ্নিকারীদের মধ্যে উৎসাহের কোনও ভাঁটা দেখা যায়নি।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬২টি সংস্থার আইপিওতে আবেদনের সুযোগ মিলেছে। আইপিওর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি বাজার থেকে ৬৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। গত বছর (পড়ুন ২০২৩) বাজারে এসেছিল ৫৭টি আইপিও। যার থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ বছর এখনও পর্যন্ত ২৯ শতাংশ বেশি টাকা আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে তোলা গিয়েছে। আগামী বছরও এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে বলে আশাবাদী আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।