Real Estate Business

শহরের আবাসন বিক্রিতে ভাটা, তিন মাসে বিক্রি কমল ১৭ শতাংশ!

সামগ্রিক ভাবেও আলোচ্য সময়ে দেশে সাধ্যের আবাসনের চাহিদা কমেছে বলে জানাচ্ছে উপদেষ্টা। ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বাড়ির চাহিদা মাথা নামিয়েছে ১৪%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেটে ছাড় তোলার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ল শহরের আবাসন বিক্রিতে। বৃহস্পতিবার এই ক্ষেত্রের উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের আটটি বড় শহরের মধ্যে কলকাতায় বাড়ি-ফ্ল্যাটের বিক্রি কমেছে সবচেয়ে বেশি হারে। এপ্রিল-জুনের তুলনায় এখানে গত তিন মাসে বিক্রি ১৭% কমে হয়েছে ৪৩০৯টি। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় তা বেড়েছে ১৪%। এটাও দেশে সর্বোচ্চ।

Advertisement

সামগ্রিক ভাবেও আলোচ্য সময়ে দেশে সাধ্যের আবাসনের চাহিদা কমেছে বলে জানাচ্ছে উপদেষ্টা। ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বাড়ির চাহিদা মাথা নামিয়েছে ১৪%। ব্যতিক্রম কলকাতা ও মুম্বই। বৃদ্ধি যথাক্রমে ৭% ও ৩%। অন্য দিকে, ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত দামের ফ্ল্যাটের চাহিদাও কমেছে ১৩%। তবে ১ কোটির বেশি মূল্যের ক্ষেত্রে ৪১% বেড়েছে। সব দামের বাড়ি-ফ্ল্যাট মিলিয়ে অবশ্য বিক্রি গত বছরের চেয়ে ৫% বেড়েছে।

নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্টে স্পষ্ট, উৎসবের মরসুমের আগে কলকাতায় সাধ্যের আবাসন বিক্রি বাড়লেও, সামগ্রিক বিক্রির গতি শ্লথ হয়েছে। যার মূল কারণ জুলাই থেকে রাজ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেটে ছাড় ওঠা। তবে সারা দেশ দেখলে ছবিটা উল্টো। সে ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভাবে বিক্রি বৃদ্ধির হাল ধরে রেখেছে মূলত ১ কোটি টাকা বা তার বেশি দামি বাড়ি-ফ্ল্যাট। সাধ্যের বাড়ির চাহিদা সে ক্ষেত্রে ক্রমশই কমছে। ফলে নির্মাতারাও এতে আগ্রহ হারাচ্ছে, কমছে সেগুলির সরবরাহও।

Advertisement

উপদেষ্টার সিএমডি শিশির বৈজল বলেন, ‘‘কম দামি আবাসন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ও চাহিদা কমায় সরবরাহে ভাটা তার বিক্রি কমাচ্ছে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার পরে বৈষম্য বেড়েছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আবাসনেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement