—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেটে ছাড় তোলার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ল শহরের আবাসন বিক্রিতে। বৃহস্পতিবার এই ক্ষেত্রের উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের আটটি বড় শহরের মধ্যে কলকাতায় বাড়ি-ফ্ল্যাটের বিক্রি কমেছে সবচেয়ে বেশি হারে। এপ্রিল-জুনের তুলনায় এখানে গত তিন মাসে বিক্রি ১৭% কমে হয়েছে ৪৩০৯টি। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় তা বেড়েছে ১৪%। এটাও দেশে সর্বোচ্চ।
সামগ্রিক ভাবেও আলোচ্য সময়ে দেশে সাধ্যের আবাসনের চাহিদা কমেছে বলে জানাচ্ছে উপদেষ্টা। ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বাড়ির চাহিদা মাথা নামিয়েছে ১৪%। ব্যতিক্রম কলকাতা ও মুম্বই। বৃদ্ধি যথাক্রমে ৭% ও ৩%। অন্য দিকে, ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত দামের ফ্ল্যাটের চাহিদাও কমেছে ১৩%। তবে ১ কোটির বেশি মূল্যের ক্ষেত্রে ৪১% বেড়েছে। সব দামের বাড়ি-ফ্ল্যাট মিলিয়ে অবশ্য বিক্রি গত বছরের চেয়ে ৫% বেড়েছে।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্টে স্পষ্ট, উৎসবের মরসুমের আগে কলকাতায় সাধ্যের আবাসন বিক্রি বাড়লেও, সামগ্রিক বিক্রির গতি শ্লথ হয়েছে। যার মূল কারণ জুলাই থেকে রাজ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেটে ছাড় ওঠা। তবে সারা দেশ দেখলে ছবিটা উল্টো। সে ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভাবে বিক্রি বৃদ্ধির হাল ধরে রেখেছে মূলত ১ কোটি টাকা বা তার বেশি দামি বাড়ি-ফ্ল্যাট। সাধ্যের বাড়ির চাহিদা সে ক্ষেত্রে ক্রমশই কমছে। ফলে নির্মাতারাও এতে আগ্রহ হারাচ্ছে, কমছে সেগুলির সরবরাহও।
উপদেষ্টার সিএমডি শিশির বৈজল বলেন, ‘‘কম দামি আবাসন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ও চাহিদা কমায় সরবরাহে ভাটা তার বিক্রি কমাচ্ছে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার পরে বৈষম্য বেড়েছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আবাসনেও।