অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
গৃহঋণের চড়া সুদের চাপে ধাক্কা খেয়েছে মধ্যবিত্তের বাড়ি কেনার স্বপ্ন। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে শহরের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের (কম দামি) সেই সাধ পূরণের সুযোগ দিতে ঋণে ভর্তুকির প্রকল্প আনার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি আবাসনমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানান, তার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ফের মধ্যবিত্তের জন্য সেই প্রকল্প আনার বার্তা দিলেন। যা আশা জোগাচ্ছে আবাসন ক্ষেত্রকে।
এই উদ্যোগ ব্যবসায় গতি আনবে, আশায় উপদেষ্টা অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরী ও নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার সিএমডি শিশির বৈজল। তবে কিছু আশা পূরণ না হওয়ার কথাও বলেছেন অনুজ। যেমন, শিল্পের তকমা না থাকা আবাসনে নানা সুবিধা না পাওয়া। ক্রেতার কর ছাড়ের আশা পূরণ না হওয়া। শহরে আবাস যোজনায় বরাদ্দের বড় ঘোষণা না থাকা।
নানা সমীক্ষা বলছে, কম দামি ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি কমেছে। বিকোচ্ছে বেশি দামের। যা আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির প্রতিফলন, দাবি বহু বিশেষজ্ঞের। অথচ সকলের জন্য বাড়ির লক্ষ্যে ২০১৫-এ কম দামি আবাসনে ভর্তুকি প্রকল্প এনেছিল কেন্দ্র। পরে গ্রামে আবাস যোজনা চালু থাকলেও, ২০২২-এর মার্চে মাঝারি আয়ের মানুষের সুদে ভর্তুকির প্রকল্প বন্ধ হয়। যা শহরে আবাস প্রকল্পের অংশ ছিল।
নির্মলা জানান, আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) প্রায় তিন কোটি বাড়ি হয়েছে। পাঁচ বছরে আরও দু’কোটি হবে। আনা হবে ভাড়া বাড়ি, বস্তি বা বেআইনি কলোনির বাসিন্দাদের সহজে বাড়ি কেনার প্রকল্প। যা আবাসনের বাজার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে বলে আশা ক্রেডাইয়ের জাতীয় প্রেসিডেন্ট বোমান ইরানি, ক্রেডাই-ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা এবং প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ পানসারির। একই আশা ইডেন রিয়েলটির এমডি আর্য সুমন্ত, জৈন গোষ্ঠীর এমডি ঋষি জৈন, সিদ্ধা গোষ্ঠীর এমডি সঞ্জয় জৈন এবং সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের সিইও সাহিল শাহরিয়াও।