অর্থমন্ত্রীর দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে কর্পোরেট সংস্থার ঘাড়ে ছিল বিপুল ঋণের বোঝা। ব্যাঙ্কগুলি ডুবে ছিল বিপুল অনাদায়ী ঋণে। —ফাইল ছবি
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘অম্বানী-আদানি’-দের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তার জবাবে আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, কেরলে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন আদানি গোষ্ঠীকে নিমন্ত্রণ করে ভিরিঞ্জাম বন্দর থালায় সাজিয়ে তুলে দিয়েছিল। সে রাজ্যে বাম সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও তাতে পরিবর্তন হয়নি। রাজস্থানে একই শিল্প গোষ্ঠীকে জমি দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যেও দেওয়া হচ্ছে প্রকল্পের বরাত। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়ম মেনে বরাত দেওয়া হলে তাতে অসুবিধাও নেই। তা হলে শুধু মোদী সরকারের বেলাতেই ‘অম্বানী-আদানি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে কেন!
রাজ্যসভায় বাজেট অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম শিল্পমহলকে বিপুল করছাড় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর জিজ্ঞাসা ছিল, মোদী সরকার কর্পোরেট জগতকে ‘উপহার’ দেওয়ার পরেও তারা নতুন লগ্নি করতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না কেন?
আজ নির্মলা জবাবে বলেছেন, ১৯৯৪ সালে মনমোহন সিংহ অর্থমন্ত্রী থাকার সময় কর্পোরেট কর ৪৫% থেকে কমিয়ে ৪০% করেছিলেন। ১৯৯৭-এ পি চিদম্বরম তা কমিয়ে করেন ৩০%। সারচার্জও তুলে নেওয়া হয়। পরে তা আবার ফেরে। কিন্তু ২০০৫-এ ফের করের হার ৩০ শতাংশে নামানো হয়। নির্মলার প্রশ্ন, এগুলো কি ‘উপহার’ ছিল?
অর্থমন্ত্রীর দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে কর্পোরেট সংস্থার ঘাড়ে ছিল বিপুল ঋণের বোঝা। ব্যাঙ্কগুলি ডুবে ছিল বিপুল অনাদায়ী ঋণে। এখন সেই অনুৎপাদক সম্পদের হার কমেছে। বোঝা হালকা হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলিরও। শিল্পমহলের ঋণ বৃদ্ধির হার এপ্রিলে ১৭.৯% ছিল। তারা নতুন কারখানায় লগ্নি শুরু করেছে।
অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি ও মন্দার আশঙ্কা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্কই বলেছে ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত। মূল্যবৃদ্ধির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এ দিন এক অনুষ্ঠানে আরবিআই গভর্নরও বলেন, অর্জুনের লক্ষ্যভেদের মতো তাদের নজর এখন মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক বৃদ্ধিতে। সেই সঙ্গে দাবি, সরকারও মূল্যবৃদ্ধিকে একই রকম গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।