ছবি সংগৃহীত
ভারতীয় রেলের অধীনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কন্টেনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (কনকর) বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নিজেদের ৫৪.৮% অংশীদারির মধ্যে ৩০.৮% এবং সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মোদী সরকার। এই অবস্থায় সোমবার কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ার ঠিক আগে কনকরের জন্য জমির লাইসেন্স ফি কমাতে চাইছে কেন্দ্র। আর তা করতে চাইছে সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চলা বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার বা রেল অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি।
আজ কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভের বক্তব্য, ‘‘কনকর একটি নবরত্ন সংস্থা। লাভজনকও বটে। গত চার বছর ধরে লভ্যাংশের থেকে গড়ে ৩৬৫ কোটি টাকা করে সরকারকে দিচ্ছে। এই ধরনের একটি সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রয়োজন কী?’’ বল্লভের আরও বক্তব্য, ২০২০ সালের ১৯ মার্চ জমি লিজ়ের নতুন নীতি ঘোষণা করেছিল রেল বোর্ড। সেই অনুযায়ী, রেলের জমি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রথম বছরে জমির দামের ৬% লাইসেন্স ফি দিতে হবে। রেলের জমি ব্যবহার করে কনকরও। তাদের মোট ৬০টি কন্টেনার ডিপোর মধ্যে ২৪টি রয়েছে ওই জমিতে। তার জন্য নির্ধারিত লাইসেন্স ফি দেয় তারা। কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, এখন মোদী সরকার সেই ফি ছেঁটে ২%-৩% করার প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। লিজ়ের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে করতে চাইছে ৩৫ বছর। উদ্দেশ্যে, পুরো মেয়াদের লাইসেন্স ফি আগাম ঘরে তুলে তৈরি সরকারি পরিকাঠামো বেসরকারি সংস্থাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া। বস্তুত, পুরোটাই করা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার কনকরকে হাতে নেওয়ার রাস্তা সহজ করে দেওয়ার লক্ষ্যে। তাঁর বক্তব্য, রেলের জমি চাষিদের কাছ থেকে কম দামে নেওয়া হয়েছিল। রেল এখন তা ব্যবহার করতে না-চাইলে চাষিদের ফিরিয়ে দিক।
কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, এক বারে লাইসেন্স ফি দিতে হলে কনকরকে অন্তত ৩৫০০ কোটি টাকা ধার করতে হবে। যা বিরূপ প্রভাব ফেলবে তার মূল্যায়নে। বিলগ্নির আগে পরিকল্পনামাফিক তা করা হচ্ছে কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলটি।