ছবি এএফপি।
দেশে মোবাইল পরিষেবা ২৫ বছরে ২জি, ৩জি, ৪জি পেরিয়ে এখন ৫জি প্রযুক্তি রূপায়নের দোরগোড়ায়। এই পরিষেবার প্রসারে কেন্দ্রের কাছে সহায়ক নীতি তৈরির আর্জি জানালেন টেলিকম শিল্পের দুই প্রধান কর্তা। ভারতী এয়ারটেলের কর্ণধার সুনীল মিত্তলের আর্জি, আর্থিক উন্নয়নে এই শিল্পকে বহুগুণ কাজে লাগাতে কর কমানো হোক। আর রিলায়্যান্স-জিয়োর কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর দাবি, মোবাইল-ইন্টারনেটের পরিষেবা ছড়াতে তুলে দেওয়া হোক ২জি প্রযুক্তি। মুকেশের এমন প্রস্তাবে থ’ টেলি শিল্পের একাংশই। তাদের বক্তব্য, এ জন্য আগে সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। সর্বত্র ৪জি পরিষেবার পরিকাঠামো ও অনেক কম দামে স্মার্টফোনের ব্যবস্থা না-করেই ২জি তুললে বিপদে পড়বেন বহু মানুষ।
১৯৯৫ সালের ৩১ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিতে মোবাইল পরিষেবার সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী সুখরাম। অস্ট্রেলিয়ার টেলেস্ট্রা গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট বেঁধে তা আনে বি কে মোদীর শিল্পগোষ্ঠী। শুক্রবার টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের এক অনুষ্ঠানে স্মৃতি রোমন্থন করে বি কে মোদী জানান, রাজ্যে লগ্নির পরিবেশ নিয়ে তাঁদের অনাস্থা শুনে জ্যোতিবাবু পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পাল্টা শর্ত ছিল, প্রথম ফোন চালু হতে হবে কলকাতা থেকেই। তবে মিত্তলের দাবি, এ বার আরও এগোতে হলে বিপুল কর কমানো জরুরি।
যদিও ২জি বন্ধ করে ৪জি ও ৫জি-র মতো প্রযুক্তির পক্ষে মুকেশের সওয়াল শুনে শিল্পের একাংশের দাবি, যে দেশে সর্বত্র ৪জি নেই, সেখানে ২জি বন্ধ হবে কী করে? তার উপর এ জন্য বিপুল লগ্নি জরুরি। অথচ বেশির ভাগ সংস্থাই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। যদিও মুকেশ জিয়ো-তে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি টেনে অনেকটা স্বস্তিতে।