মুকেশ অম্বানী। ফাইল চিত্র।
হাইড্রোজেন জ্বালানি-সহ বিকল্প শক্তি ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নি কথা আগেই জানিয়েছেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের (আরআইএল) কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। সেই সূত্রে এক দশকের মধ্যে সস্তার হাইড্রোজেন জ্বালানি তৈরির বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ বারে আরও এক ধাপ এগিয়ে আরআইএল জানাল, নীল হাইড্রোজেন (ব্লু হাইড্রোজেন) উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠাই তাদের লক্ষ্য। সে জন্য তাদের জামনগরের তেল শোধনাগার ক্ষেত্রটিকে ঢেলে সাজাচ্ছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রযুক্তি সংস্থাতেও পুঁজি ঢেলেছে আরআইএল।
উৎপাদনের পদ্ধতি অনুযায়ী হাইড্রোজেন তিন প্রকারের— ‘গ্রে’, ‘ব্লু’ ও ‘গ্রিন’। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তৈরি হয় গ্রে-হাইড্রোজেন। সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ থেকে তৈরি হাইড্রোজেন হল গ্রিন হাইড্রোজেন। কিন্তু এখন সেই হাইড্রোজেনের প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ প্রায় ৩-৬.৫৫ ডলারে পৌঁছেছে। বাষ্প থেকে ওই গ্যাসটি তৈরির সময়ে কার্বন আলাদা করে সংগ্রহ করে মজুত করা হয়। সে কারণে বাতাসে কার্বন মেশে না বলে এটিকে কার্বন নিউট্রাল (কার্বন মুক্ত) বা ব্লু-হাইড্রোজেন বলা হয়। এখন এটির প্রতি কেজি উৎপাদন খরচ ২.৪০-৩ ডলার। তাদের প্রস্তাবিত উৎপাদন কেন্দ্রে তা ১.২০-১.৫০ ডলারে (প্রতি কেজি) উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলে দাবি করেছে আরআইএল। মুকেশের অবশ্য মূল লক্ষ্য, আগামী এক দশকে প্রতি কেজি হাইড্রোজেনের উৎপাদন খরচ ১ ডলারে নামানো।