—প্রতীকী চিত্র।
চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.১% হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিল মুডি’জ় অ্যানালিটিক্স। যা ২০২৩ সালের (৭.৭%) তুলনায় ১.৬ শতাংশ বিন্দু কম। মূল্যায়ন সংস্থাটি রিপোর্টে জানিয়েছে, করোনা, জোগানশৃঙ্খলের সমস্যা ও ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলে ভারতীয় অর্থনীতির অগ্রগতি যে হারে হত, এখন গতি তার তুলনায় ৪% কম। আগামী ত্রৈমাসিকগুলির জন্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালেও এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করেছে মুডি’জ়। আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, মার্চে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ৪.৮৫% হয়েছে।
মুডি’জ় অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ স্টেফান অ্যাঙ্গরিক ও জিমিন ব্যাং এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতি নিয়ে তৈরি রিপোর্টে জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে ভারত ও চিনের অর্থনীতি বাকিদের তুলনায় বেশি অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের আশপাশে (ফেব্রুয়ারি)। যা কিনা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সহনসীমার (২%-৬%) কাছাকাছি। জিনিসপত্রের দাম কমারও স্পষ্ট কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’’
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করিয়েছে, এ মাসের গোড়াতেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ৪.৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে। যদিও শর্ত হিসেবে খাদ্যপণ্যের দামের অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক সমস্যার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনাকে পাখির চোখ করে সুদও স্থির রেখেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত বছর অনিয়মিত বর্ষায় ফসলের উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছিল। এ বার বর্ষা স্বাভাবিক না হলে মূল্যবৃদ্ধির সামনে ফের ঝুঁকি বাড়বে। তাকে ঠেকাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে ফের পদক্ষেপ করতে হলে ধাক্কা খেতে পারে বৃদ্ধি। যদিও দেশের চাহিদা এই সব ঝুঁকিকে ক্রমাগত ঠেকিয়ে চলেছে বলে দাবি কেন্দ্রের।
মুডি’জ়ের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এ বছর দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি শক্ত পায়ে এগোতে পারে। যদিও অতিমারির পরে তাদের ঘুরে দাঁড়াতেও অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লেগেছে। বিশ্বের নিরিখে দেখতে গেলে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জিডিপি ক্ষয় হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। খুব বেশি দিন হয়নি তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সাধারণ ভাবে অবশ্য এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃদ্ধির হার (৩.৮%) বিশ্বের (২.৫%) তুলনায় ভাল হবে।