Green Taxi

পুরনো গাড়িতে দূষণ কর বসানোর উদ্যোগ

প্রথম অর্থনীতির ঝিমুনি ও পরে করোনায় ব্যবসা তলানিতে ঠেকার পরে পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি আনার জন্য বহু দিন ধরে সরকারের কাছে দরবার করছে গাড়ি শিল্প।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

দূষণ কমাতে কিছু গাড়ির উপর কর (গ্রিন ট্যাক্স) চাপানোর প্রস্তাব দিল সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। তবে সব রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই তা কার্যকরের কথা বলেছে কেন্দ্র। এ দিনই ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি বাতিলের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

প্রথম অর্থনীতির ঝিমুনি ও পরে করোনায় ব্যবসা তলানিতে ঠেকার পরে পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি আনার জন্য বহু দিন ধরে সরকারের কাছে দরবার করছে গাড়ি শিল্প। যাতে পুরনোগুলি বিক্রিতে উৎসাহ পেয়ে লোকে নতুন কেনেন। আর তার হাত ধরে গাড়ি বিক্রি বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সংস্থাগুলি। তার মধ্যেই কেন্দ্রের এই দূষণ করের তোড়জোড়। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম অবশ্য পুরো প্রস্তাব খতিয়ে না-দেখে প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। তবে একাংশ বলছে, এতে নতুন গাড়ির চাহিদা আদৌ কতটা বাড়বে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

নিতিনের প্রস্তাব, দূষণ ছড়ায় এমন গাড়ির উপর বসবে গ্রিন ট্যাক্স। বিভিন্ন শহরে দূষণ ও তা ছড়ানোয় অভিযুক্ত জ্বালানির ধরন অনুযায়ী করের হারে ফারাক থাকতে পারে। এ ভাবে আদায় হওয়া অর্থ কাজে লাগানো হবে দূষণ রোধে। মন্ত্রীর দাবি, এই পদক্ষেপে বহু মানুষ যেমন পুরনো গাড়ি পাল্টাবেন, তেমন দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারেও উৎসাহিত হবেন। লাভবান হবে দেশ।

Advertisement

তবে শিল্পের একাংশের ইঙ্গিত, তাদের আর্জির প্রতিফলন নয় এই পদক্ষেপ। কারণ, তারা যে পুরনো গাড়িবাতিল নীতির (স্ক্র্যাপেজ) কথা বলে, সেটি উৎসাহ ভিত্তিক। অর্থাৎ গাড়ি বাতিল করলে আর্থিক সুবিধা মিলবে। এ দিনের প্রস্তাব শাস্তিমূলক। শিল্পের প্রশ্ন, কর চাপলে অনেকে গাড়ি বাতিল করতে পারে। নতুন কিনবে হলফ করে বলা যায় কি? স্ক্র্যাপেজ নীতিতে যা হয়। গুঁড়িয়ে ফেলার কারখানায় গাড়ি দিলে যন্ত্রাংশের দাম ও সার্টিফিকেট মেলে। নতুন কেনার সময়ে তা দেখালে দামে ছাড় দেওয়া হয়। পুরনো গাড়ি গুঁড়িয়ে ফেলার পরে তা কাঁচামাল হিসেবেও ফের ব্যবহার করতে পারে গাড়ি শিল্প। কিন্তু এমন সুবিধা কেন্দ্র আনছে কি না, তা এ দিন অন্তত স্পষ্ট হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement