ছবি: সংগৃহীত।
জিএসটি সংগ্রহ, উৎপাদন শিল্পের মাথা তোলার লক্ষণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং গাড়ির চাহিদা বেড়েছে সেপ্টেম্বরে। এই সমস্ত কিছুর উপর দাঁড়িয়েই অর্থ মন্ত্রকের ফের দাবি, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ। পাশাপাশি শনিবার বিবৃতিতে তাদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের দুর্দশা দূর করতে আরও পদক্ষেপ করতে তৈরি সরকার। অর্থনীতিবিদদের একাংশ অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমের আগে চাহিদা মাথা তুলবেই। দীর্ঘমেয়াদে কী হয় সেটাই বড় প্রশ্ন।
সেপ্টেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ৯৫,৪৮০ কোটি টাকা। যা এক বছর আগের চেয়ে কিছুটা বেশি। আয় বেড়েছে রেলের পণ্য পরিবহণ থেকে। ভাল বর্ষায় ভর করে কৃষি ক্ষেত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনায় বেড়েছে ট্র্যাক্টরের বিক্রি। কিছুটা মাথা তুলেছে গাড়ির চাহিদা, রফতানি, ই-ওয়ে বিল। এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রকের দাবি, ছ’মাসে কেন্দ্র যে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ ও আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ এনেছে, তার ফলেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে অর্থনীতিতে।
ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের ভারতীয় প্রধান প্রণব সেন অবশ্য শুক্রবারই জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ লকডাউনের পরে সাধারণ মানুষ কেনাকাটার সুযোগ পেয়েছেন। তার উপর সামনেই উৎসবের মরসুম। এই অবস্থায় কেনাকাটা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। অক্টোবর-নভেম্বর পার না-হলে বোঝা যাবে না অর্থনীতি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না। অনেকের আবার বক্তব্য, সরকার ঋণ বাড়িয়ে উন্নয়ন খাতে না ঢাললে কর্মসংস্থানে গতি আসা মুশকিল। সে ক্ষেত্রে চাহিদা ধরে রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে।