ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ আলোচনার পরে অবশেষে অতিরিক্ত মাছ ধরার ক্ষেত্রে ভর্তুকি নিয়ে চুক্তিতে একমত হল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য দেশগুলি। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য পেটেন্ট ছাড়, বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন পণ্যে আমদানি শুল্কে স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিয়ে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ডব্লিউটিও-র বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই সমস্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ভারত। বৈঠকে অংশ নেওয়া বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কথায়, সব মিলিয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। ভারত যে কোনও বিষয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আপসের পথে হাঁটেনি, বরং প্রায় সব দাবি আদায়ে সক্ষম হয়েছে, তা-ও জানান তিনি।
মাছ ধরায় ভর্তুকির বিষয়টি নিয়ে প্রায় দু’দশক ধরে আলোচনা চলছে ডব্লিউটিও-য়। ভর্তুকির জেরে বাড়তি মাছ ধরা এবং তার হাত ধরে সমুদ্রের ভারসাম্য নষ্টের কথাও বলা হচ্ছিল বার বার। তাই দাবি উঠছিল তা বন্ধের। কিন্তু সে জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। শেষ বার ২০১৩ সালে বিশ্ব জুড়ে পণ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমত হয়ে চুক্তি করেছিল ডব্লিউটিও। তার পর থেকে শুক্রবারই প্রথম কোনও বিষয়ে চুক্তি করল তারা। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে কত খাদ্যশস্য পাঠাতে হবে, তা বাঁধতে নিয়ম জারির পক্ষে একমত হতেও প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সদস্য দেশগুলি। ঠিক হয়েছে, সেই সরবরাহের পরিমাণ ঠিক হবে দেশের নিজস্ব চাহিদা বুঝে।
আজ গয়াল বলেন, ‘‘সকলেই ভেবেছিলেন এই বৈঠকও ব্যর্থ হবে। কিছু দেশ বহুত্ববাদের যৌক্তিকতা নিয়েপ্রশ্ন তুলছিল। ...নানা বিষয় দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে ছিল। আজ কোনও বিষয় আটকে নেই। আর আমরা চিন্তা নিয়ে জেনেভাও ছাড়ছি না।’’ তাঁর দাবি, মাছ ধরা থেকে শুরু করে খাদ্যে ভর্তুকি ও চাষিদের সাহায্য, সব বিষয়েভারত নিজের জায়গায় ধরে রেখেছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে রফতানির ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য বাঁধা হয়েছে সময়। ফলে সব পক্ষই মোটের উপরে খুশি। উল্লেখ্য, ১২ জুন থেকে টানা আলোচনার পরে শুক্রবার আটটি বিষয়ে মত প্রকাশ করেছে ডব্লিউটিও। এ নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন তার ডিজি এনজ়োগি ওকেন্জ়ো-ইওয়েলাও।