প্রতীকী ছবি।
প্রথম শেয়ার ছেড়ে (আইপিও) প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা তুলতে ১১ মার্চ মূল আর্থিক সংস্থা বা অ্যাঙ্কর ইনভেস্টরদের থেকে এলআইসি লগ্নির আবেদনপত্র চাইতে পারে বলে খবর সূত্রের। কিছু দিন পরে তা চাওয়া হতে পারে খুচরো ও ধনী লগ্নিকারীদের থেকে। কিন্তু এখানেই মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য আশঙ্কা। বাজার মহলের খবর, এই ইসুতে লগ্নির অর্থের সংস্থান করতে বহু বিনিয়োগকারী অন্য শেয়ার কিনছেন না। অনেকে আবার হাতের শেয়ার বেচে টাকা জোগাড় করছেন। এই দু’টি বিষয়ই ইতিমধ্যে অস্থির বাজারে পতন ডেকে আনতে পারে। যদিও অন্য অংশ বলছে, সূচকের গতি নির্ভর করে আর্থ-সামাজিক নানা ঘটনার উপরে। শুধু একটি আইপিও-র কারণে তা বিশাল পড়বে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লগ্নিকারীরা যাতে নতুন শেয়ারে বিনিয়োগে ভরসা পায়, তা নিশ্চিত করতে অ্যাঙ্কর ইনভেস্টরদের কাছে শেয়ার বিক্রি নিয়ে আগেই চুক্তি করে আইপিও ছাড়া সংস্থাগুলি। তার উপরে এলআইসি-র ইসু ভারতে বৃহত্তম এবং বিশ্বে বিমা সংস্থার ছাড়া তৃতীয় বৃহত্তম। বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খণ্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘বড় ইসু আসার আগে ও পরে বাজার অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে পড়ে। এলআইসি-র ক্ষেত্রেও সাময়িক ভাবে তা হওয়ার আশঙ্কা।’’
দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীও বলেন, “প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকার আইপিও যে বাজার থেকে অনেকটা নগদ শুষে নেবে, তা স্বাভাবিক। তবে বাজার পড়লেও, এতে ধস নামবে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া সূচক নামলে এলআইসি তথা সরকারের ঘরে আসবে কম অর্থ। ফলে কেন্দ্রও এতে নজর রাখবে।’’
মর্নিংস্টার অ্যাডভাইজ়রির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিমাংশু শ্রীবাস্তবের যদিও মত, “এলআইসি একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু সূচককে আদতে নিয়ন্ত্রণ করবে দেশে-বিদেশে মূল্যবৃদ্ধি, আমেরিকার ফেডারাল রিজ়ার্ভের সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, অশোধিত তেলের দামই।’’ সঙ্গে বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা ও করোনাও তাতে প্রভাব ফেলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।