শহরের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তারই ইঙ্গিত রয়েছে বড় অফিসের চাহিদা বাড়ার পরিসংখ্যানে। ছবি: সংগৃহীত।
কোভিডের সময় কলকাতার ব্যবসার যে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল তার প্রমাণ অফিসের জন্য জায়গার চাহিদায়। আবাসন শিল্প পরিষেবা এবং পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট-ফ্রাঙ্কের তথ্য বলছে ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের শেষে ৫০ হাজার বর্গফুট বা তার বেশি জায়গা জুড়ে অফিসের চাহিদা শূন্যে পৌঁছেছিল।
কোভিডের সময় লকডাউনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এর চাপে গুটিয়ে গিয়েছিল অনেক ব্যবসাই। কিন্তু আবার যে শহরের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তারই ইঙ্গিত রয়েছে বড় অফিসের চাহিদা বাড়ার এই পরিসংখ্যানে।
কোভিডের প্রকোপ কমার সঙ্গে পা মিলিয়ে আবার শহরের ব্যবসা ছন্দে ফিরতে শুরু করে ২০২১ সালের শেষ থেকে। পরিসংখ্যান বলছে এই সময়েই ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি অফিসের জায়গার চাহিদা মোট চাহিদার ২৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। আর ২০২২ সালের শেষে এই চাহিদা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মোট চাহিদার ৩০ শতাংশে।
সংস্থার পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ডিরেক্টর অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে অফিসের চাহিদা বাড়তে শুরু করার অন্যতম কারণ অবশ্যই বাড়ি থেকে কাজ করার প্রয়োজন ফুরিয়ে অফিসে ফেরার তাগিদ। আর এই চাহিদার শীর্ষে অবশ্যই রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। অফিস লিজ় নেওয়ার দৌড়ে এই সংস্থাগুলিই এগিয়ে। গত বছরের শেষে অফিসের জন্য জায়গার বাজারে বিক্রি বা লেনদেন হওয়া অফিসের জায়গার মোট আয়তন ছিল ১০ লক্ষ বর্গফুটের বেশি যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ।