প্রতীকী ছবি
এক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তখনই মোদী মমতাকে জানিয়ে দেন, সহজে ব্যবসা করার (ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস) মাপকাঠিতে ভারত কতটা উন্নতি করেছে, তা যাচাই করতে এ বার কলকাতার পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
এত দিন দিল্লি ও মুম্বইতে ব্যবসার পরিবেশ কতটা শিল্পপতিদের সহায়ক, তা দেখে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ঠিক করত বিশ্বে ভারতের জায়গা। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, এত বড় দেশে মাত্র দু’টি শহরের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত। বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ব্যবসার পরিবেশ নিয়েও সমীক্ষা চালানো হবে। আর এই চারটি শহরের নিরিখে ঠিক হবে, তাদের বাণিজ্য-বন্ধু তালিকায় ভারতের আসন।
আজ বিশ্ব ব্যাঙ্ক ২০১৯ সালের রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৯০টি দেশের মধ্যে ভারত উঠে এসেছে ৬৩ নম্বরে। মোদীর লক্ষ্য প্রথম ৫০-এ ঢোকা। তবে এ বার সেই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য তাঁকে মমতার উপরেও নির্ভর করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ইতিমধ্যেই মমতাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের চোখে কলকাতাকে বাণিজ্য-বন্ধু করে তুলতে কোথায় কোথায় নজর দিতে হবে। শিল্প সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, ‘‘আমিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছি। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কর্নাটকের মুখ্যসচিব ও আমলাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কলকাতাতেও ওই ধরনের বৈঠক চাইছি।’’
আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘জনসংখ্যার ভিত্তিতেই কলকাতা ও বেঙ্গালুরুকে বাছা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গেও কথা বলব। ব্যবসার কোথায় বাধা রয়েছে, লাল ফিতের ফাঁস কাটাতে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হবে।’’