Senior Citizens

প্রবীণদের জন্য সস্তার পণ্য, সুদে সুবিধার সওয়াল

চড়া মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় ইতিমধ্যেই নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছে প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্তদের। যাঁদের নতুন করে আয় বৃদ্ধির জায়গা নেই। জীবনযাপনের জন্য ভরসা জমানো পুঁজি, পেনশনভোগী হলে মাসে মাসে হাতে আসা নির্দিষ্ট টাকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জন্মহার কমছে। বাড়ছে মানুষের বেঁচে থাকার বয়স। ফলে জনসংখ্যার নিরিখে প্রবীণ মানুষের অনুপাত ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেষ্টা নীতি আয়োগের হিসাবে, ২০৫০-এ তাঁদের হার পৌঁছবে প্রায় ১৯.৫ শতাংশে, এখন যা ১০%। এই প্রেক্ষিতে বয়স্ক মানুষদের জীবন উদ্বেগহীন এবং মসৃণ করতে এখন থেকেই সরকারকে কাজ শুরু করার পরামর্শ দিল তারা। সুপারিশ করল এই লক্ষ্যে শুধু তাঁদের জন্য কর ব্যবস্থার সংস্কার, বাধ্যতামূলক সঞ্চয় প্রকল্প এবং আবাসন পরিকল্পনার।

Advertisement

চড়া মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় ইতিমধ্যেই নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছে প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্তদের। যাঁদের নতুন করে আয় বৃদ্ধির জায়গা নেই। জীবনযাপনের জন্য ভরসা জমানো পুঁজি, পেনশনভোগী হলে মাসে মাসে হাতে আসা নির্দিষ্ট টাকা। সম্প্রতি ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের জমা টাকায় সুদের হার বেড়েছে বটে। তবে খাদ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যুঝে প্রকৃত আয় কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বহু বয়স্ক মানুষের বক্তব্য, প্রভিডেন্ট ফান্ডের ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা। যা রান্নার গ্যাস কিনতেই খরচ হয়ে যায়। চিকিৎসা-ওষুধপত্র তো পরের কথা।

নীতি আয়োগ তাদের রিপোর্টে এই সমস্যার কথা অস্বীকার করেনি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘যেহেতু ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ, অধিকাংশ প্রবীণকেই তাই সঞ্চয় খাটিয়ে তৈরি আয়ের উপরে নির্ভর করতে হয়। আর পরিবর্তনশীল সুদের ফলে সেই আয়কে অনেক সময়েই ছাপিয়ে যাচ্ছে জীবনধারনের খরচ। তাই তাঁরা সঞ্চয়ের উপরে যাতে ন্যূনতম একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ পান তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করা দরকার।’’ প্রবীণদের সমস্ত প্রকল্প নিয়ে জাতীয় স্তরে একটি পোর্টাল তৈরির কথাও বলেছে তারা, যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পরিষেবা পাওয়া সহজ হয়। প্রবীণ মহিলাদের বাড়তি সুবিধার সওয়ালও করেছে।

Advertisement

তাদের অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, স্থাবর সম্পদ বন্ধক রেখে বেশি ধার দেওয়ার সুযোগ, খরচ কমাতে বয়স্কদের ব্যবহার্য পণ্যের জিএসটিতে বদল, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) কম খরচে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা।

সুপারিশ

· প্রবীণদের জন্য পোর্টাল।

· আর্থিক বোঝা কমাতে কর ও জিএসটি সংস্কার।

· জমার সুদকে নির্দিষ্ট হারের নীচে নামতে না দেওয়া।

· প্রবীণাদের বাড়তি সুবিধা।

· সম্পত্তি বন্ধক রেখে বেশি নগদের ব্যবস্থা।

· ব্যবসায়িক সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল দরিদ্র প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প তহবিলে দেওয়ার সুযোগ।

· কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা। দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা ঘরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement