অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন। এ বার বললেন তাঁর অর্থসচিব রাজীব কুমার। বক্তব্য একই— ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে চারটি শক্তিশালী ব্যাঙ্ক তৈরির সিদ্ধান্ত ভারতের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইট হিসেবে কাজ করবে। আর রাজীব এ কথা বলতেই সংশ্লিষ্ট মহলে উঠল প্রশ্ন, বৃদ্ধি যেখানে আরও নেমে এই অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৫ শতাংশে তলিয়েছে, সেখানে ওই রাস্তা আদৌ তৈরি হবে কি? গাড়ি-বাড়ি থেকে সাবান-বিস্কুট, সব কিছুর চাহিদা কমছে নাগাড়ে। একাংশের প্রশ্ন, ব্যাঙ্ক যদি বা বেশি ঋণ দিতে চায়, বিক্রিবাটার এই ভাটায় তা নেওয়ার লোক থাকবে তো?
এর আগে নির্মলাও দাবি করেছেন, সংযুক্তির ফলে ঋণের জোগান বাড়বে। যা অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
এক সাক্ষাৎকারে রাজীবের দাবি, ‘‘বৃদ্ধিকে পরের পর্যায় নিতে প্রয়োজন বড় মাপের ব্যাঙ্ক। সংযুক্তির ঘোষণা সেই লক্ষ্য পূরণেই। আমাদের এখন ছ’টি বড় ব্যাঙ্ক থাকবে বর্ধিত মূলধন ও দক্ষতা নিয়ে। যা সাহায্য করবে বৃদ্ধির গতি বাড়াতে।’’ তার পরেই তাঁর মন্তব্য, ভাল মূলধন ও অর্থের সংস্থান থাকা ব্যাঙ্কই ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি তৈরির সহায়ক হবে।
ব্যাঙ্ক সংযুক্তি ১ এপ্রিলের মধ্যেই হবে বলে জানিয়েছেন কুমার। বলেছেন, এই পদক্ষেপ আসলে সব অনিশ্চয়তা দূর করতেই। তাঁর মন্তব্য, এতে গ্রাহকরা অসুবিধায় পড়বেন না। বরং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি উঁচু মুনাফা, উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি কর্মীদেরও আরও সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবতে পারবে।