—প্রতীকী ছবি।
দেশের সব মানুষকে বিমার আওতায় আনতে চায় কেন্দ্র। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে এ বার স্বাস্থ্য বিমা কেনার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (৬৫ বছর) তুলে নিল বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তিতে বিমা সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে তারা। জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। আগে থেকে কোনও কঠিন রোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিমার সুবিধার বাইরে রাখা যাবে না।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আগের নিয়ম অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের নতুন প্রকল্প বিক্রি করা যেত না। তার আগে প্রকল্প কেনা থাকলে নবীকরণ করা যেত। স্বাস্থ্য বিমায় বয়সভিত্তিক এই নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত দু’টি। এক, বিমার বাজার আরও বাড়ানো। দুই, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্রমবর্ধমান খরচ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সব শ্রেণির মানুষের সামনে রাস্তা আরও প্রশস্ত করে দেওয়া। বস্তুত, বিজ্ঞপ্তিতে আইআরডিএআই বলেছে, ‘‘সমস্ত বয়সের মানুষের কাছে যাতে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পৌঁছয় তা বিমা সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত প্রবীণ নাগরিক, পড়ুয়া, শিশুদের জন্য ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংক্রান্ত প্রকল্প তৈরি করতে হবে তাদের।’’ তবে অনেকে মনে করছেন, এতে বিমার প্রিমিয়াম বাড়তে পারে। আর সে ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য সফল হওয়া কঠিন। ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ প্রধান বলেন, ‘‘পদক্ষেপটি ভাল। এর ফলে বিমা ক্ষেত্রের পরিসর বাড়বে। তবে সংস্থাগুলি এই নির্দেশ কার্যকর হলে প্রিমিয়ামের অঙ্ক কেমন ধার্য হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। আমার আশঙ্কা, এর ফলে প্রিমিয়াম আরও বাড়বে। আইআরডিএআই-কে এই দিকে নজর রাখতে হবে। না হলে মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না।’’
আইআরডিএআই আরও জানিয়েছে, আগে থেকে কোনও রোগ থাকলেও কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসতে চাইলে তাঁকে প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে। ক্যান্সার, হৃদরোগ, এইচআইভি আক্রান্তদেরও অস্বীকার করা যাবে না। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য কিস্তিতে প্রিমিয়াম নিতে পারবে সংস্থাগুলি। আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথির মতো চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধাকে কোনও ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে বেঁধে রাখতে পারবে না সংস্থাগুলি। বিমার অঙ্কের পুরো সুবিধাই দিতে হবে।