প্রতীকী ছবি।
চলতি খরিফ মরসুমের শস্য ভরতে ১৪ লক্ষ বেলের (১ বেল= ৫০০টি বস্তা) বেশি চটের বস্তা জোগানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল চটকলগুলি। যেখানে চাহিদা ছিল ২৪ লক্ষ বেল। এখন ওই ১৪ লক্ষ দেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে উৎপাদনে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বুধবার সব চটকলকে চিঠি দিয়েছে জুট কমিশনারের অফিস।
নভেম্বর থেকেই অধিকাংশ রাজ্যে খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য কেনা শুরু হয়। অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর কিছু দিন আগে থাকতে সেই কাজ চালু করতে হয়। ফলে বস্তার ঘাটতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেশ কিছু রাজ্য। তাদের আশঙ্কা, বস্তার অভাবে খাদ্যশস্য কেনার প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে।
সে ক্ষেত্রে চাষিদের অসন্তোষের মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। এমনকি এই করোনার আবহে বাজারে শস্যের জোগান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করছে কেউ কেউ। যেটা হলে আনাজের দাম আরও চড়তে পারে। সেই কারণেই বরাত অনুযায়ী বস্তা তৈরিতে গতি আনার এই নির্দেশ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।চটশিল্পের অবশ্য দাবি, কাঁচা পাটের অভাব, আকাশছোঁয়া দাম ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে না-ফেরার মতো কারণেই ধাক্কা খাচ্ছে বস্তা তৈরি।
আরও পড়ুন: শর্তেই সমস্যা, নালিশ ছোট শিল্পের