গাড়ি, ব্যাঙ্ক, আবাসন থেকে শুরু করে বহু শিল্পই এই মুহূর্তে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে নেই। এই অবস্থায় কেন্দ্রের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে কার্যত তলানিতে পৌঁছল পরিকাঠামো বৃদ্ধি। বুধবার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান জানাল, জুনে আটটি (কয়লা, সার, ইস্পাত, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারের পণ্য, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ) প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বৃদ্ধি হয়েছে ০.২%। মূলত জ্বালানি নির্ভর ক্ষেত্রগুলির উৎপাদন সরাসরি কমাই এ জন্য দায়ী। গত বছরের জুনে এই ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮%।
পরিসংখ্যান অনুসারে, অশোধিত তেল, শোধনাগারের পণ্য ও সিমেন্টের উৎপাদন সরাসরি যথাক্রমে ৬.৮%, ৯.৩% ও ১.৫% কমেছে। ইস্পাত, বিদ্যুৎ, কয়লা ও সারের ক্ষেত্রে তা অবশ্য বেড়েছে যথাক্রমে ৬.৯%, ৭.৩%, ৩.২% ও ১.৫%। এ দিকে মে মাসের বৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫.১% থেকে ৪.৩% করেছে কেন্দ্র।
শিল্পোৎপাদন সূচকে এই আটটি ক্ষেত্রের গুরুত্ব ৪০.২৭%। ফলে জুনের শিল্প বৃদ্ধির উপরেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে পরিকাঠামো বৃদ্ধির পরিস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর কথা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারে ধারণা অনেকের।