পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালুর দু’বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। তার আগে রবিবার জিএসটি-তে করের হারের ধাপ কমিয়ে ২-৩টি করার দাবি করল শিল্প মহল। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস, আবাসন এবং মদের মতো পণ্য ও পরিষেবাকে এই ব্যবস্থায় আনার কথাও বলেছে তারা।
সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে রিটার্ন জমার সরল নিয়ম চালু হওয়ার কথা। যা পুরোদস্তুর চালু হবে ১ অক্টোবর থেকে। ছোট করদাতাদের জন্য সরল এবং সুগম রিটার্ন ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। কথা রয়েছে নগদ লেজার ব্যবস্থা ঢেলের সাজানো এবং জিএসটির আওতায় কেন্দ্রীয়, রাজ্য, সম্মিলিত জিএসটি এবং সেসের আগে মেটানো করের টাকা রিফান্ডের সরল ব্যবস্থা চালুরও। কর মেটানো, রিটার্ন জমা, আগে মেটানো করের টাকা দাবির কোনও ধাপে সমস্যা দেখা দিলে যাতে সংস্থার ডিরেক্টর, প্রোমোটার এবং মালিকদের কাছে সঙ্গে সঙ্গে এসএমএস পৌঁছোয়, ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আজ বণিকসভা ফিকির দাবি, পরবর্তী ধাপে প্রথমে প্রাকৃতিক গ্যাসকে জিএসটির আওতায় আনা উচিত। সে ক্ষেত্রে ৫% করের হারের পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। পেট্রোলিয়াম পণ্যকে যত দিন না জিএসটিতে আনা হচ্ছে, তত দিন সেগুলির উৎপাদন শুল্ক ও যুক্তমূল্য করে সংস্কারের দাবিও জানিয়েছে ফিকি। সিআইআইয়ের আবার দাবি, বিদ্যুৎ, আবাসন ও মদকে জিএসটিতে আনার। একই সঙ্গে ২৮% করের আওতায় থাকা পণ্যের সংখ্যা কমানো ও করের ধাপ কমিয়ে ২-৩টি করার।
জিএসটির চালুর পরে প্রথম দিকে কিছু সমস্যা হয়েছে জানিয়ে আগামী দিনে আরও সরল পরোক্ষ কর ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেছে সিআইআই। ফিকির আবার দাবি, সাধারণত কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের কর কর্তারা অথরিটি অব অ্যাডভান্সড রুলিংয়ের শীর্ষে থাকেন। দেখা যায়, কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা রাজস্ব আদায়ের কথা মাথায় রেখে মামলার রায় দেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের রাজস্ব অফিসারেরা আলাদা সিদ্ধান্ত নেন, এতে সমস্যায় পড়েন করদাতারা। সে জন্য একটি কর্তৃপক্ষ তৈরির দাবি করেছে তারা।
উল্লেখ্য, জিএসটির বর্ষপূর্তিতে সোমবার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে কেন্দ্র। থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বিভিন্ন বিভাগের সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেখানে জিএসটিতে পরবর্তী ধাপে কী কী নিয়ম চালু হতে পারে, তার দিশা দেওয়ার চেষ্টা করবে কেন্দ্র।