ফাইল চিত্র
লাঞ্চ থেকে ডিনার। করোনা বিধি মেনে কড়া নিয়ন্ত্রণের ঘেরাটোপেই দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্যের হোটেল-রেস্তরাঁগুলি খোলা রাখতে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাল পূর্ব-ভারতে এই শিল্পের সংগঠন এইচআরএইআই।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে বাগে আনতে আর্থিক কর্মকাণ্ড, বিনোদন, কেনাকাটায় মাসকয়েক ধরে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্যে। তাতে ব্যবসা বন্ধ রেস্তরাঁ, স্পা, জিমগুলির। হোটেলে ছাড় সামান্য। তবে সেখানকার রেস্তরাঁ-জিম-স্পা বন্ধ। শুধু হোম-ডেলিভারি করে স্থায়ী খরচের সামান্য জোগাড়ের সুযোগ চালু রয়েছে। মাঝে নিয়ম শিথিল হলেও যথাযথ সরকারি বিজ্ঞপ্তির অভাবে তাতে লাভ হয়নি বলে দাবি সংগঠনের। এই অবস্থায় ১৫ জুনের পরে (সে দিন পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি) এই শিল্পের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে দিকেই তাকিয়ে তারা।
এইচআরএইআইয়ের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার রবিবার বলেন, ‘‘দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজের অনুমতি পেলে ভাল হয়। তা হলে লাঞ্চ থেকে ডিনার পর্যন্ত ব্যবসার সুযোগ মিলবে। তবে করোনা বিধি মেনে নিয়ন্ত্রতি ভাবেই তা করতে হবে।’’
কিন্তু সংক্রমণ এখনও যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে নিয়ন্ত্রিত ভাবে কি আদৌ ব্যবসা চালু সম্ভব? সেই আশঙ্কা উড়িয়ে না-দিলেও সুদেশের বক্তব্য, আর্থিক কাজকর্ম যে তলানিতে পৌঁছেছে, তাতে বিধি মেনে ধাপে ধাপে তা শুরু করতে না-পারলে এবং সব বন্ধ রাখলে অর্থনীতি, জীবনযাপনে আরও বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই কী ভাবে ভারসাম্য রেখে ব্যবসা চালু করা যায়, তার পথ খোঁজা এখন অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, গত বছরে লকডাউনের পরে ৫০% অতিথি, নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে বসার আয়োজন করার মতো নিয়ম জারি করে হোটেল-রেস্তরাঁ খোলায় সায় দেওয়া হয়েছিল। এই শিল্পের সর্বভারতীয় সংগঠন এফএইচআরএআই-এর কিছু সদস্য ক্রেতা টানতে বিলে শর্তসাপেক্ষে ছাড়ও দেয়। ব্যবসার চাকা একেবারে বসে যাওয়া থেকে রুখতে নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবসা চালাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেয় সংগঠনটি।