প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির ধাক্কায় খাদে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সরকারি খরচ বিপুল ভাবে বাড়াতে হচ্ছে। অথচ আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় কর বাবদ আয় কমেছে। সেই ফারাক মেটাতে গিয়ে বাড়ছে ঋণের দায়। যার জেরে গত অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছে গিয়েছে ৯.৩ শতাংশে। চলতি অর্থবর্ষেও তা থাকতে পারে উদ্বেগজনক জায়গায়। এই অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতির মূল্যায়ন ঋণযোগ্যতার সবচেয়ে নীচের স্তরেই (BBB-) রাখল রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। এই নিয়ে টানা ১৪ বছর। সেই সঙ্গে ভারত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্থিতিশীল’ রেখেছে তারা। উল্লেখ্য, কোনও দেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তা-ই ব্যাখ্যা করা হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে গত অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছিল। সেই নিচু ভিতের নিরিখে আগে চলতি অর্থবর্ষে উঁচু অঙ্কের বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও, দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই তা ছাঁটাই করছে রেটিং সংস্থাগুলি। কেউ কেউ বলেছে, কর সংগ্রহ কমা ও খরচ বাড়ায় কেন্দ্রকে যে ভাবে ধার করতে হচ্ছে, তাতে সরকারি ঋণ ছুঁতে পারে জিডিপির ৯০%। এই অবস্থায় ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই শোনাচ্ছিলেন মূল্যায়ন কমার আশঙ্কার কথা। তবে তা না-কমা কেন্দ্রের কাছে কিছুটা স্বস্তির।
এসঅ্যান্ডপি অবশ্য জানিয়েছে, আর্থিক নীতি ও ঋণনীতির মাধ্যমে ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। তবে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে গেলে সংস্কার, লগ্নি ও কর্মসংস্থানে গতি আনতে হবে। কিন্তু সেই অবস্থা কত দিনে তৈরি হবে, সে প্রশ্নই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে।