—প্রতীকী ছবি
করোনা আবহে সিনেমা হল বন্ধ থাকায় সামাজিক মাধ্যম এবং অ্যাপেই বিনোদনের চাহিদা মেটাচ্ছেন মানুষ। এরই মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে চিনা অ্যাপ বন্ধ হওয়ায় দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে সেই বাজার ধরার লড়াই বেড়েছে। চলতি বছরে তা আরও বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সস্তা মাসুলের হাত ধরে নেট ব্যবহারে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। তার উপরে শিক্ষা ও বিনোদনমূলক কনটেন্ট দেখার পাশাপাশি নিজেরাই ভিডিয়ো তৈরি করে বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে নতুন প্রজন্ম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশি-বিদেশি ডিজিটাল প্রযুক্তি সংস্থা ভারতকে বিনোদন ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, শুধু নেটফ্লিক্স, অ্যামাজ়ন প্রাইম ভিডিয়োর মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বা সামাজিক মাধ্যম নয়, বিনোদনের নতুন ক্ষেত্র খুলে দিচ্ছে গেমিং। মেপল ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজ়র্সের এমডি পঙ্কস কারনার দাবি, লকডাউনের সময়ে ভারতে গেমিং ব্যবসা ২১% বেড়েছে। সারা বছরে বাড়তে পারে ৩০-৪০%। কিছু সংস্থার গ্রাহক বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। গত মার্চ-ডিসেম্বরে এই ক্ষেত্রে ৩৫.৫ কোটি ডলারের (২৬০০ কোটি টাকা) প্রাইভেট ইকুইটি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালের লগ্নি এসেছে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সীমান্ত উত্তেজনার পর থেকে ২২০টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এই বাজারকে কাজে লাগাতে দেশীয় সংস্থার অ্যাপের চাহিদা বেড়েছে। তাদের পক্ষে নতুন লগ্নি জোগাড়ের পথও প্রশস্ত হয়েছে। গুগল, মাইক্রোসফটের মতো সংস্থার থেকে ১০ কোটি ডলার (৭৩০ কোটি টাকা) পুঁজি এনেছে ভার্সে ইনোভেশন। হিরো মোটোকর্পের এমডি পবন মুঞ্জলের সংস্থার থেকে ৩০০ কোটি পেয়েছে শেয়ারচ্যাট। লগ্নি টানার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে কাগজ স্ক্যানার (৪ কোটি), বোলো ইন্ডিয়া (৩ কোটি), চিঙ্গারি (৯.৫ কোটি)।