গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
একেই কি বলে পুনর্মূষিক ভব?
গত এক বছর ধরে দেশের বাজারে শেয়ারের সূচক বাড়তে বাড়তে যেখানে পৌঁছেছিল, মঙ্গলবার সেই ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের সূচকেই প্রায় নেমে গেল শেয়ার! সূচক পড়ল ৭০৪ পয়েন্ট। নিফটি সূচক পড়ল ২০৭ পয়েন্ট। দিনের শেষে অবশ্য সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে নেয় সেনসেক্স ও নিফটি।
দেশের অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষিতে ও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় শেয়ার বেচার হিড়িকেই এই অবনমন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের আশঙ্কা, সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে ড্রোন হানাদারির জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে চলেছে শীঘ্রই। তার ফলে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে দর-দামের দৌড়ে আরও পিছিয়ে পড়বে ভারতীয় মুদ্রা, টাকা। সেই উদ্বেগেই এ দিন শেয়ার বেচার হিড়িক পড়ে যায় ভারতের বাজারে। যার জেরে সূচক পড়তে শুরু করে দুদ্দাড়িয়ে। দিনের শেষে সেনসেক্সের সূচক দাঁড়িয়ে যায় ৬৪২ পয়েন্টে, আর নিফটি নেমে আসে ১৮৬ পয়েন্টে।
অথচ, গত সপ্তাহেই সেনসেক্স বাড়ে ১২৫.৩৭ পয়েন্ট। দাঁড়ায় ৩৭,২৭০.৮২ অঙ্কে। তখন সেনসেক্স বাড়ে টানা তিন দিন। ৩২.৬৫ পয়েন্ট বাড়ে নিফ্টিও।
আরও পড়ুন- মোদীর ১০০ দিনে উধাও বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা
আরও পড়ুন- সেনসেক্স বাড়ল টানা তিন দিন
এই দ্রুত অবনমনের আরও একটা কারণ রয়েছে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষিতে এ দেশের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংস্থাগুলি বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই শেয়ার বেচতে শুরু করে। সেই অশনি সংকেত পেয়েই ভারতীয় সংস্থাগুলিও এ দিন শেয়ার বেচতে শুরু করে দেয়।’’