—প্রতীকী ছবি।
কমেই চলেছে ভারতীয় টাকার দাম। ডলারের নিরিখে ফের ভারতীয় মুদ্রায় দেখা গেল রেকর্ড পতন। যা দেখে ভুরু কুঁচকেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপুল অর্থ তুলে নেওয়ার জেরে টাকা কমজোরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অবিলম্বে পরিস্থিতির বদল না হলে তা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার, ৪ নভেম্বর ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৮৪.১১-তে নেমে আসে। এ বছরের ৩১ অক্টোবর ৮৪.১০ টাকায় নেমেছিল ভারতীয় মুদ্রার দর। যা ছিল সর্বকালীন নিম্ন। ১ নভেম্বর অবশ্য দীপাবলির থাকার কারণে বন্ধ ছিল ফরেক্স বাজার। এ দিন যা খুলতেই ফের আগের মতোই টাকার দামে লক্ষ করা যায় পতন।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘‘বিদেশি লগ্নিকারীরা (ফরেন পোর্টফোলিয়ো ইনভেস্টর বা এফপিআই) ক্রমাগত ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করে ডলার কিনে চলেছেন। অন্য দিকে, গ্রিন ব্যাক বিক্রির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। যা টাকার দর কমার মূল কারণ।’’
বিদেশি লগ্নিকারীরা ডলার কিনতে শুরু করায় আমেরিকান মুদ্রাটির চাহিদা বেড়েছে। যা একে দামি করে তুলছে। আর ডলারের দামের সূচক চড়তে থাকায় বিশ্ব জুড়েই অন্যান্য মুদ্রার দর নিম্নমুখী হয়েছে। ফরেক্স ব্যবসায়ীদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় টাকা সংকীর্ণ পরিসরে বাণিজ্য করতে পারবে। তবে ডলার দামি হওয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম খুব একটা বাড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
টাকার দামের এই পতন ঠেকাতে আরবিআইয়ের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন ফরেক্স ব্যবসায়ীরা। এ দিন ভারতীয় শেয়ার বাজারের সূচক নিম্নমুখী হয়েছে। সেনসেক্স এবং নিফটি যথাক্রমে হাজার ও সাড়ে ৩০০ পয়েন্টের বেশি পড়েছে।