স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। প্রতীকী চিত্র।
খাদ্যপণ্য-সহ বিভিন্ন কাঁচামালের চড়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) সংস্থাগুলির খরচ বেড়েছে। ঠিক একই কারণে শহরাঞ্চলে কেনাকাটা বৃদ্ধির হার বেশ কিছু দিন নিম্নমুখী। তার জেরে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেশ কিছু সংস্থার খরচের নিরিখে মুনাফার অনুপাত (মার্জিন) কমেছে। তাদের ইঙ্গিত, পরিস্থিতি সামলাতে অদূর ভবিষ্যতে দাম কিছুটা বাড়াতে হতে পারে।
গত কয়েক মাসে শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের বাজারে চাহিদা মাথা তুললেও বড় শহরগুলিতে তা হঠাৎই ধাক্কা খেয়েছে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, গোদরেজ কনজ়িউমার প্রোডাক্টস, ম্যারিকো, আইটিসি এবং টাটা কনজ়িউমার প্রোডাক্টসের মতো ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, তাদের বিক্রিবাটার ৬৫%-৬৮% শহরাঞ্চলের উপরে নির্ভরশীল। ফলে চাপে পড়ে গিয়েছে তারা। শহরের চাহিদায় ভাটার প্রভাব পড়েছে গত ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফলে। সংস্থাগুলির বক্তব্য, পাম তেল, কফি এবং কোকোর মতো কাঁচামালের দাম বেড়েছে।
গত ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফল ঘোষণার সময়ে গোদরেজ কনজ়িউমার প্রোডাক্টসের এমডি-সিইও সুধীর সীতাপতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমাদের ধারণা, এই ধাক্কা স্বল্পমেয়াদি। খরচ স্থিতিশীল রেখে এবং কিছুটা দাম বাড়িয়ে কমে যাওয়া মার্জিন পুষিয়ে দিতে পারব।’’ সংস্থাগুলির একাংশ জানাচ্ছে, একটা সময়ে গ্রামাঞ্চলের চাহিদা ধাক্কা খাচ্ছিল। সেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতেই এ বার শহরের বাজার উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ফলে ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি ধারাবাহিক চাপে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনেকে মনে করাচ্ছেন, নেসলে ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সুরেশ নারায়ণন সম্প্রতি শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ‘সঙ্কোচন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চাহিদার মন্থরতা স্পষ্ট। দুটো ত্রৈমাসিক আগেও খাদ্য ও পানীয় ব্যবসায় বৃদ্ধির হার ছিল দুই অঙ্কে। এখন
১.৫-২ শতাংশে নেমেছে। কাঁচামালের দাম না কমলে দাম বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।’’
টাটা কনজ়িউমার প্রোডাক্টসের এমডি-সিইও সুনীল ডি’সুজ়ার ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা যা ভাবছি, খাবারদাবারের মূল্যবৃদ্ধি সম্ভবত তার চেয়েও বেশি। ফলে তার প্রভাবও চড়া।’’ ডাবরের নিট মুনাফা ১৭.৬৫% কমেছে। তারাও পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে শহরে চাহিদার ভাটাকে।