রেকর্ড পরিমাণ পুঁজি তুলে নিল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। প্রতীকী চিত্র।
গত মাসে দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির যে পরিমাণ পুঁজি তুলেছে, তা এখনও পর্যন্ত কোনও এক মাসে রেকর্ড। এই সময়ে তারা বিক্রি করেছে ৯৪,০১৭ কোটি টাকার শেয়ার। মূলত ভারতের বাজারে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের চড়া দাম এবং চিনে সরকারের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা ও সেখানকার শেয়ারের আকর্ষণীয় দর। এই দুই ঘটনাই এ জন্য দায়ী বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে করোনার মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে ওই সব সংস্থা ভারতের বাজার থেকে ৬১,৯৭৩ কোটি টাকার শেয়ার তুলেছিল। তা ছিল এ পর্যন্ত সর্বাধিক।
ডিপোজ়িটরির কাছে জমা থাকা তথ্য বলছে, এপ্রিল-মে মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলি এ দেশের শেয়ার বাজার থেকে ৩৪,২৫২ কোটি টাকার তহবিল তুলেছিল। তার পরে জুন, জুলাই এবং অগস্টে তারা ঢেলেছে যথাক্রমে ২৬,৫৬৫ কোটি, ৩২,৩৬৫ কোটি এবং ৭৩২০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে ২০২৪ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুঁজি লগ্নি করেছিল ওই সব সংস্থা। যার অঙ্ক ৫৭,৭২৪ কোটি। গত মাসে ওই বিপুল শেয়ার বিক্রির হাত ধরে এ বছরে এখনও পর্যন্ত ওই সমস্ত সংস্থার ভারতের বাজারে লগ্নির অঙ্ক নেমেছে ৬৫৯৩ কোটি টাকায়। তবে ঋণপত্রে গতি এসেছে নানা ঘটনার উপরে ভর করে। সব মিলিয়ে এ বছর বিদেশি লগ্নিকারীরা এই ক্ষেত্রে ঢেলেছে ১.০৬ লক্ষ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা তো ছিলই। তার উপরে চিনের বাজারের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়া বিদেশি লগ্নিকারীদের সে দেশে টেনে নিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ভোট, রয়েছে সেখানে সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও। তাই বিদেশি পুঁজি ভারত ছাড়ার হিড়িকে দ্রুত বদলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।