আইডিবিআই ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
কথা চলছে বহু দিন ধরেই। অবশেষে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক বেচতে মাঠে নামল মোদী সরকার। এ জন্য শুক্রবার আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছাপত্র চাইল তারা। জানাল, অংশীদারি কেনার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ব্যাঙ্ক পরিচালনার রাশও হাতে পাবে।
গত অর্থবর্ষে বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাঙ্কটিতে সরকারের বাকি শেয়ার বিক্রি ও পরিচালনার রাশ হাতবদলের প্রস্তাবে নীতিগত সায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেসরকারিকরণ বাস্তবায়িত হয়নি। এ দিন ইচ্ছাপত্র আহ্বান করার সময় কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দফতর (দীপম) জানিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কের মোট ৬০.৭২% অংশীদারি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হবে। এর ৩০.৪৮% কেন্দ্রের, ৩০.২৪% জীবনবিমা নিগমের (এলআইসি)।
শুক্রবার বিএসইতে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪২.৭০ টাকা। সেই হিসাবে ৬০.৭২% অংশীদারি বেচে পাওয়ার কথা ২৭,৮০০ কোটি টাকারও বেশি। অধিগ্রহণের পরে ক্রেতাকে সাধারণ লগ্নিকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কেনার খোলা প্রস্তাব দিতে হবে।
দীপম বলেছে, ব্যাঙ্কটি কেনার জন্য কোনও বড় কর্পোরেট সংস্থা বা ব্যক্তির আবেদন গ্রাহ্য হবে না। যোগ্য ক্রেতা হতে পারে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাঙ্ক, আরবিআইয়ে নথিভুক্ত ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি), শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির নথিভুক্ত বিকল্প লগ্নি সংস্থা (এআইএফ), বিদেশে নথিবদ্ধ লগ্নি সংস্থা ইত্যাদি। এরা একক ভাবে অথবা ৪টি সংস্থার গোষ্ঠী হিসেবে আবেদন করতে পারবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগ্রহী ক্রেতার নিট সম্পদ কমপক্ষে ২২,৫০০ কোটি টাকা হতে হবে। গত ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর নিট মুনাফা করা চাই। বিক্রির অন্যতম শর্ত, শেয়ার কেনার পরে কমপক্ষে ৪০% অধিগ্রহণের দিন থেকে পাঁচ বছর বাধ্যতামূলক ভাবে হাতে রাখা। বেসরকারিকরণের পরে সরকার ও এলআইসির ঝুলিতে ব্যাঙ্কটির মোট ৩৪% শেয়ার থাকবে। ক্রেতার ইচ্ছাপত্র জমার শেষ দিন ১৬ ডিসেম্বর। যোগ্য ক্রেতা কে এবং শেষ পর্যন্ত তার হাতে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কতটা অংশীদারি রাখতে দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
এখন ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের অংশীদারি ৪৫.৪৮%। তারা বছরখানেক আগে এলআইসিকে ৪৯.২৪% বেচেছে। অর্থাৎ তাদের মোট শেয়ার ৯৪.৭২%। সাধারণ লগ্নিকারীদের হাতে ৫.২%। আইডিবিআইয়ের শেয়ার বিক্রিতে পরামর্শ দিতে কেপিএমজি ইন্ডিয়া ও লিঙ্ক লিগালকে নিযুক্ত করা হয়েছে।