রাজীব কুমার।— ফাইল চিত্র
কোভিডের ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতির হাল আগের অবস্থায় ফিরতে গড়িয়ে যাবে ২০২১-২২ আর্থিক বছর। এমনটাই মনে করছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। চলতি বছরে জাতীয় গড় উৎপাদন (জিডিপি)-এ সঙ্কোচনের হার ৮ শতাংশের কম হতে পারে বলেও তাঁর মত।
দেশের অর্থনীতির ছবিটা কবে নাগাদ আগের অবস্থায় ফিরতে পারে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে রবিবার রাজীব বলেন, ‘‘২০২১-২২ আর্থিক বছরের শেষে নিশ্চিত ভাবেই আমাদের কোভিড-১৯-এর পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরা উচিত।’’ এর সঙ্গে তিনি এও মনে করেন, চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি সঙ্কোচনের হার ৮ শতাংশের কম হবে। রাজীবের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর দেওয়া তথ্যেও। দেশের প্রধান আর্থিক সংস্থাটি আগেই অনুমান করেছিল, চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার মাইনাস সাড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। যদিও গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর মতো আর্থিক সংস্থার মতে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি সঙ্কোচনের হার হতে পারে ১০.৩ শতাংশ। মুডি’র মতে বৃদ্ধির হার মাইনাস ৮.৯ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রেখে আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যা মনে করা হয়েছিল তার চেয়েও দ্রুতগতিতে কোভিড পর্বে হওয়া আর্থিক ক্ষতির মেরামতি হচ্ছে। গ্রামীণ এবং শহর দুই জায়গার অর্থনীতিই সচল হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছিলেন শক্তিকান্ত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের উৎপাদন শিল্প গতিশীল হয়ে উঠেছে। তার জেরেই ক্ষত ক্রমশ সেরে ওঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আরবিআই-এর ধারণা, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সব কিছুতেই ডিজিটাল! সতর্ক করলেন অমিত
আরও পড়ুন: ৮৫ ছুঁইছুঁই পেট্রল, রেকর্ডমুখী ডিজেলও
দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে আরও গতি আনতে মোদী সরকার যে বেসরকারিকরণের দিকেও তাকিয়ে রয়েছে সে কথাও উঠে এসেছে রাজীবের বক্তব্যে। তাঁর মতে, চলতি আর্থিক বছরে বিভিন্ন সরকারি এবং আধা সরকারি ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষেও সওয়াল করেছেন রাজীব।