ছবি: এএফপি।
প্রায় আট বছর পর ফের ইতিবাচক সাড়া মিলছে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র। এক বেসরকারি সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্র দ্রুত হারে বাড়ায় কর্মসংস্থানেও জোয়ার আসছে। এর ফলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের অর্থনীতি। সম্প্রতি এক সমীক্ষার ফল এমন কথাই বলছে।
লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা আইএইচ এস মারকিট-এর সমীক্ষা জানিয়েছে, গত মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে নিক্কেই-এর ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স (পিএমআই)-এ দেশের উৎপাদন ছুঁয়েছে ৫৫.৩ পয়েন্ট। যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৫২.৭-এ। শুধু তা-ই নয়। টানা ৩০ মাস ধরেই ৫০-এর উপরে রয়েছে সূচক। এমনকি, ২০১২-র ফেব্রুয়ারির পর থেকে উৎপাদন ক্ষেত্রের সূচক গত মাসেই সবচেয়ে বেশি উপরে উঠেছিল বলে জানিয়েছে আইএইচ এস মারকিট।
শুধুমাত্র উৎপাদন ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া মিলেছে, এমনটা নয়। সমীক্ষা অনুযায়ী, পণ্যের বিক্রিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। এই উৎপাদন বৃদ্ধি সামলাতে কলকারখানাতে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, সাত বছরেরও বেশি সময় পর এত দ্রুত হারে কর্মসংস্থান হয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: কাটল না বাজেট নিয়ে বিভ্রান্তি, হিসেবই সার, কমল কি আয়কর
আইএইচ এস মারকিট-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ পলিয়ানা ডি লিমা বলেন, ‘‘চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ায় পণ্যের বিক্রিও ঊর্ধ্বগামী। সেই সঙ্গে কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে, উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানেও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পিএমআই-এর ফলাফল। ব্যবসা বাড়ানোর আশায় নতুন উদ্যমে কাঁচামাল মজুতেও জোর দিচ্ছে উৎপাদকেরা।’’
আরও পড়ুন: ঘাটতির ৩.৮% লক্ষ্যও উচ্চাশা, দাবি সমীক্ষায়
বহির্বিশ্বের বাজারে চাহিদা বাড়ায় বিক্রিও বেড়েছে লক্ষ্যণীয় হারে। ২০১৮-র নভেম্বরের পর থেকে রফতানি ক্ষেত্রেও নতুন ভাবে চাহিদা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। তবে ওই সমীক্ষায় গোটা ছবিটাই এতটা উজ্জ্বল নয়। কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি স্লথ ভাবে হলেও উৎপাদনের খরচও বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির হারেও প্রভাব পড়েছে। গত ডিসেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছিল ৭.৩৫ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরেরও উপরে সবচেয়ে বেশি।