প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশের বস্তাই এখন চিন্তা পাটশিল্পের
নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁচা পাটের অভাব, কিছু ক্ষেত্রে শ্রম বিরোধ এবং আর্থিক সমস্যায় জেরবার রাজ্যের পাট শিল্পের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ থেকে আসা সস্তার চটের বস্তা। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে ওই পড়শি দেশ ও নেপাল থেকে চটের বস্তা আমদানিতে রাশ টানতে শাস্তিমূলক শুল্ক বহাল রাখতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্যের পাট শিল্প। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুল্ক বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টর জেনারেল অব ট্রেড রেমেডিজ়। শুরু হয়েছে তদন্তও।
প্রায় এক বছরে রাজ্যে ১৮টি চটচকল বন্ধ হয়েছিল। কাজ হারান প্রায় ৫০,০০০ কর্মী। সম্প্রতি রাজ্য, চটকল মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরে বেশ কয়েকটি খুলেছে। মঙ্গলবার খুলেছে হুগলি মিলস কোম্পানি। অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, ১৫ জুলাই খুলবে হাওড়ার হনুমান জুট মিল। ফলে কাজ ফিরে পাবেন আরও ২৫০০ কর্মী। কিন্তু এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের বস্তা।
বাংলাদেশ এ রাজ্যে যে বস্তা পাঠায় এমনিতেই বিভিন্ন প্রকল্পের সুবাদে তার দাম পশ্চিমবঙ্গে তৈরি বস্তার থেকে অনেক কম। তার উপরে রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতে সংশ্লিষ্ট উৎসাহ প্রকল্পে টাকার অঙ্কও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
নিয়ম অনুসারে, তিন বছর অন্তর চটের বস্তা আমদানিতে শাস্তি শুল্ক বহালের বিষয়টি যাচাই করা হয়। যাকে বলা হয় ‘সানসেট রিভিউ’। চটকল মালিকরা জানান, ইতিমধ্যেই করোনা ও গত বছর আমপান ঘূর্ণিঝড়ে পর থেকে ভুগছে রাজ্যের এই শিল্প। এ বার ২০১৭ সালে চালু ওই শুল্ক কোনও কারণে কেন্দ্র তুলে নিলে চূড়ান্ত সমস্যায় তারা।
চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র দাবি, বাংলাদেশের বেশ কিছু বস্তা উৎপাদনকারী সংস্থাকে আগে থেকেই শাস্তি শুল্কের আওতা থেকে বাদ রেখেছে ভারত। তারা নিজের উৎপাদন তো বটেই, বাজার থেকে বস্তা কিনে পশ্চিমবঙ্গে রফতানি করছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে রফতানির কোটা শেষ হলে নেপালের মাধ্যমে রাজ্যে পাঠাচ্ছে তারা। এ সব নিয়েই তদন্ত চায় আইজেএমএ।