বৃদ্ধি ছাঁটল আইএমএফ, কাঠগড়ায় সেই চাহিদা

যদিও একই সঙ্গে রিপোর্টে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চিনকে টেক্কা দিয়ে দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হিসেবে ভারতের জায়গা অক্ষতই থাকছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:১৫
Share:

আইএমএফ

ভারতের বৃদ্ধির সম্ভাবনা মাপতে গিয়ে এ বার দেশের বাজারে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদাকে কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও (আইএমএফ)। ঠিক যে কথা বার বার উঠে আসছে দেশের অন্দরে অর্থনীতি সংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান ও সমীক্ষায়। আর সেই যুক্তিতে এ দেশে ২০১৯ ও ২০২০ সালের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার আগের পূর্বাভাসের থেকে ৩ শতাংশ বিন্দু কমাল তারা। ফলে তা দাঁড়াল যথাক্রমে ৭% ও ৭.২%।

Advertisement

যদিও একই সঙ্গে রিপোর্টে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চিনকে টেক্কা দিয়ে দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হিসেবে ভারতের জায়গা অক্ষতই থাকছে। যেখানে আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক লড়াইয়ের মাসুল গুনে এবং বিশ্ব বাজারে পড়তি চাহিদার জেরে পড়শি দেশের অর্থনীতি হয়েছে আরও মন্থর। তাদের ক্ষেত্রে আইএমএফের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ৬.২% ও ৬%। ঋণের উপর শি চিনফিংয়ের দেশের মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতা নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।

তবে শুধু ভারত বা চিনই নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধিই শ্লথ হওয়ার ছবি স্পষ্ট আইএমএফের পরিসংখ্যানে। প্রতিষ্ঠানটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোতে রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেন, সংশোধন করে কমানো হয়েছে সেই পূর্বাভাসও। ফলে ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য বৃদ্ধি এখন ৩.২%। ২০২০-তে ৩.৫%। গোপীনাথের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথ হওয়া মূলত সম্ভাবনাময় ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলির বৃদ্ধি ধাক্কা

Advertisement

খাওয়ার প্রতিফলন। তবে একই সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ, প্রযুক্তি নিয়ে সমস্যার জেরে তার জোগানে বাধা, ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তাকেও দায়ী করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement