—প্রতীকী চিত্র।
উৎসব শেষ হতে না হতেই এসে পড়েছে বিয়ের মরসুম। গত ২৩ নভেম্বর থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩৮ লক্ষ বিয়ের সূচি রয়েছে। ফলে উৎসবের পরে এই উপলক্ষে গাড়ি কেনা বজায় থাকা নিয়ে আশাবাদী গাড়ি বিক্রেতারা (ডিলার)। বুধবার তাদের সংগঠন ফাডা জানিয়েছে, গত নভেম্বরে বিপণিগুলি (শোরুম) থেকে গাড়ি বিক্রি সবর্কালীন উচ্চতা পৌঁছেছে। আশার সঞ্চার হয়েছে গ্রামীণ বাজারেও। তবে একই সঙ্গে এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকা নিয়ে সংশয়ী তারা। তাদের বক্তব্য, বিরূপ আবহাওয়ায় রবিশস্যের উৎপাদন বিঘ্নিত হলে জোগানের অভাবে খাদ্যপণ্যের দাম এবং মূল্যবৃদ্ধি চড়লে ব্যবসায় ফের বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ দিন ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া জানান, সব ধরনের গাড়ি মিলিয়ে গত মাসে ২৮.৫৪ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়েছে দেশে। যা ছাপিয়েছে আগের নজিরকে (২০২০ সালের মার্চের ২৫.৬৯ লক্ষ)। এ ছাড়াও গত মাসে দু’চাকা (২২.৪৭ লক্ষ) ও যাত্রিবাহী গাড়ির (৩.৬ লক্ষ) বিক্রিও গড়েছে নতুন নজির। গ্রামে দু’চাকার চাহিদায় জোয়ার আসা তাঁদের কাছে স্বস্তির। তবে কিছু রাজ্যে ভোট ও অন্যান্য কারণে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি সামান্য ধাক্কা খেয়েছে।
ফাডার তথ্য অনুযায়ী, মাসের হিসাবেও গাড়ি বিক্রি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে নভেম্বরে। অক্টোবরের চেয়ে মূলত দু’চাকা (৪৯%) ও খানিকটা যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি বাড়ায় সার্বিক বিক্রি বেড়েছে ৩৫%। সংগঠনের বক্তব্য, গত বছরে ৪২ দিনের (নবরাত্রি থেকে দীপাবলি) উৎসবের কিছুটা পরে শুরু হয়েছিল বিয়ের মরসুম। কিন্তু এ বারে প্রায় পরপরই পড়েছে। এই দুই সময়ে বিশেষত গ্রামে গাড়ি কেনায় কিছুটা বাড়তি উৎসাহ থাকে। সেই প্রবণতা এ বার আরও বেশি দেখা গিয়েছে।
তবে সংগঠনটির আরও দাবি, অতিমারির পর থেকে কিছু দিন আগে পর্যন্ত, বিশেষ করে দু’চাকার গাড়ির চাহিদা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল। ফলে দু’তিন মাস গাড়ি বিক্রি ভাল হলেও চাহিদার পুনরুজ্জীবন হয়েছে এমনটা বলা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন বিক্রির ধারাবাহিকতা বজায় থাকা। তারা জানিয়েছে, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যা শস্য উৎপাদনে ধাক্কা দিতে পারে। তা হলে ফের মূল্যবৃদ্ধি চড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লে স্বল্প মেয়াদে ফের গাড়ি ব্যবসায় প্রভাব পড়তে পারে।