—প্রতীকী ছবি।
মধ্যবিত্তদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে সুন্দর একটা বাড়ির। সেই সাধ মেটাতে ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিতেও পিছপা হন না তাঁরা। এখন প্রশ্ন হল, সাধের বাড়ির দাম কোটি টাকা হলে, ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা ঋণ পাবেন গ্রাহক? প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ কত অর্থ দিতে হবে তাঁকে? এই প্রতিবেদনে রইল তারই হদিস।
বাড়ির জন্য কোটি টাকা ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে প্রতি মাসের বেতন বা রোজগার সংক্রান্ত তথ্য ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। সেই নথি খতিয়ে দেখে তবেই ঋণ মঞ্জুর করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী, সম্পত্তির ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, সাধের বাড়ির দাম কোটি টাকা হলে, আবেদনকারী ঋণ বাবদ পাবেন ৮০ লক্ষ টাকা।
বাড়ির ঋণ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়। এটি কমপক্ষে ৩০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। বর্তমানে গৃহঋণে সুদের হার বছরে ৮.৫ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের মাসের আয়ের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি হবে ইএমআই।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোটি টাকার গৃহঋণের ক্ষেত্রে ইএমআইয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬১ হাজার ৫০০ টাকা। এই অঙ্ক সামান্য কমবেশি হতেই পারে। ইএমআই মাসিক আয়ের ৪০ শতাংশ হলে প্রতি মাসে গ্রাহককে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা রোজগার করতে হবে। অর্থাৎ, বার্ষিক ১৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা আয় থাকলে তবেই বাড়ির জন্য কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাঙ্ক।
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ দেওয়া আবশ্যক। এটি সাধারণত সম্পত্তির মোট মূল্যের ছয় থেকে আট শতাংশ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, কোটি টাকার বাড়িতে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি দাঁড়াবে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা।