—প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ন’মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা। তার মধ্যেই প্রকাশিত হল ওই মাসে পণ্য ও পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) আদায়ের পরিমাণ। যা সন্তোষজনক বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গত বছরের (পড়ুন ২০২৩) সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বার জিএসটি আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ।
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের সেপ্টেম্বরে জিএসটি বাবদ কোষাগারে এসেছে ১.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে একই সময়ে পণ্য ও পরিষেবা কর আদায়ের পরিমাণ ১.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। এ বছরের জুনে মোট জিএসটি (গ্রস জিএসটি) আদায়ের পরিমাণ ৭.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে পণ্য ও পরিষেবা কর সংগ্রহের পরিমাণ একক সংখ্যায় থেকে গিয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় মাসে এমন চিত্র দেখা গেল। যা গত ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের জিএসটি আদায় সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টাকা ফেরত দেওয়ার পর কোষাগারে আসা নেট করের পরিমাণ ১.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা বছর থেকে বছরের নিরিখে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মাসে (পড়ুন সেপ্টেম্বর) অভ্যন্তরীণ রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৯ শতাংশ। ফলে রাজস্ব বাবদ আদায়ের অঙ্ক বেড়েছে ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। আমদানিকৃত পণ্যের উপর রাজস্ব সংগ্রহে ৮ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা প্রায় ৪৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এই সময়সীমার মধ্যে জিএসটির ফেরত দেওয়া টাকার অঙ্ক ২০ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। ২০২৩ সালে একই সময়ের নিরিখে জিএসটিতে টাকা ফেরত দেওয়ার পরিমাণ ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছরের অগস্টে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ২০২৩ সালের অগস্টের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে ওই মাসে সরকারি কোষাগারে এসেছিল ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যা ছিল ১.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা। গত ৯ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় কর কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রীদের একটি কমিটি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি অক্টোবরে রিপোর্ট জমা করবে বলে জানা গিয়েছে।