ভরসা সরকারি লগ্নিই

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির রিপোর্ট বলেছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুনে যেখানে ৩.৪ লক্ষ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প ঘোষণা হয়, সেখানে এ বছর ওই তিন মাসে তা ৪৩,৫০০ কোটি। ৮৭% কম। চালু হওয়া প্রকল্পও ৬১% কমেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০২:২৯
Share:

বেসরকারি লগ্নির দেখা নেই। বৃদ্ধির রথের চাকায় গতি এনে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তাই সরকারি লগ্নিতেই ভরসা রাখতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বাজেটে সড়ক, বন্দরের মতো ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নির দিশা দেখাবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থ বরাদ্দ হবে নিতিন গডকড়ীর হাতে থাকা পরিকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রকগুলিতে।

Advertisement

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির রিপোর্ট বলেছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুনে যেখানে ৩.৪ লক্ষ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প ঘোষণা হয়, সেখানে এ বছর ওই তিন মাসে তা ৪৩,৫০০ কোটি। ৮৭% কম। চালু হওয়া প্রকল্পও ৬১% কমেছে।

অর্থ মন্ত্রক সূত্র বলছে, বেসরকারি লগ্নির ঘাটতি পূরণে বাজেটে জাতীয় সড়ক তৈরির ভারতমালা প্রকল্প, বন্দর তৈরির সাগরমালা প্রকল্প, রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ, মেট্রো রেল, নদীপথ-বিমানবন্দর তৈরি, স্মার্ট সিটি প্রকল্পে যতটা বেশি সম্ভব অর্থ বরাদ্দ হবে। শুধু পরিবহণ পরিকাঠামোতেই বরাদ্দ বাড়তে পারে ৮-১০%।

Advertisement

তবে পরিকাঠামোর সব অর্থই বাজেট থেকে খরচ হবে না। কারণ, বাজেট বরাদ্দ বেশি হলে রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে। এ বার নির্মলার সামনে খরচ বাড়ানোর সুযোগ কম। জানুয়ারি-মার্চের বৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নামায় রাজস্ব আদায় আশানুরূপ বাড়বে কি না সন্দেহ। সূত্রের খবর, পরিকাঠামো নির্মাণে যুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ঋণ নিয়ে, পরিকাঠামো বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে টাকা তুলতে পারে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তা তুলতে পারে পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল মারফত।

শিল্পের দাবি, বেসরকারি সংস্থার বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে টাকা তোলায় লাল ফিতের ফাঁস আলগা হোক। তাদের আশা, বাজেটে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি লগ্নির টাকা তুলতে বন্ডের পথ সহজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement