ছবি: সংগৃহীত
সদ্য সমাপ্ত ২০১৯ সালে প্রায় স্বপ্নের দৌড় দেখল সোনার দাম। চিন-মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের কারণে অনিশ্চয়তা, বিভিন্ন দেশে সুদ কমা এবং শেয়ার বাজারে অস্থিরতা— এই তিনের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে নিরাপদ লগ্নির গন্তব্য হিসেবে উঠে আসে সোনা। যার ফলে গত বছরে বিশ্ব বাজারে নিট হিসেবে ১৯% বেড়েছে হলুদ ধাতুটির দর। ২০১০ সালের পরে এই লাফই সর্বাধিক। পিছিয়ে নেই ভারতের বাজারও। ২০১৯ সালে দেশে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ২৪%।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনা (জিএসটি বাদে) ছিল ৩২,১২৫ টাকা। গত মঙ্গলবার ২০১৯ সালের শেষ দিনে তা ছুঁয়েছিল ৩৯,৬৮৫ টাকা। তার মধ্যেই অবশ্য গত ৪ সেপ্টেম্বরে জিএসটি যোগ করে ১০ গ্রাম পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) ৪০,০০০ টাকা পার করেছিল। আর কর বাদে সেই দাম ছিল ৩৯,৮১০ টাকা। শহরে সেটাই ছিল হলুদ ধাতুর সর্বকালীন রেকর্ড। যা সোনার কারবারিদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ ছিল। সেই সঙ্গে বাজারে চাহিদা না-থাকাও তাঁদের জীবিকায় টান ফেলেছিল। এর পরে দাম কিছুটা নেমে এলেও,
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার যখন অস্থির হয়, তখনই মানুষ লগ্নির জন্য সোনার দিকে ঝোঁকেন। গত বছরে যখন বাণিজ্য-যুদ্ধের জেরে অনিশ্চয়তা চলছে, তখন সোনার চাহিদা বেড়েছে। বছরের একটা বড় সময় জুড়ে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কাও সোনাকে লগ্নি হিসেবে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়াও, গত বছর সুদের হার কমিয়েছে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে স্থায়ী আমানত ও ঋণপত্রের রিটার্নে আস্থা কমেছে লগ্নিকারীদের। সেটাও সোনার দাম বাড়ার কারণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে বিশেষজ্ঞেদের একাংশের মতে, অদূর ভবিষ্যতে বেশি দিন ধরে সুদ ছাঁটাইয়ের ধারা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এ বছরে সোনার দৌড়ের গতি এ বার কিছুটা থমকাতেও পারে।