ছবি: সংগৃহীত।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকা কার্যত অবশ্যম্ভাবী— বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থার রিপোর্ট তেমনটাই বলছে। বুধবার মার্কিন ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স জানাল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার নামতে পারে ১.৬ শতাংশে। যা বেশ কয়েক দশকের সর্বনিম্ন। এ দিনই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, করোনার থাবায় ২০২০ সালে বাণিজ্য ১৩%-৩২% পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
এর আগে কয়েকটি সংস্থা ভারতের বৃদ্ধির হার ২ শতাংশে নামার পূর্বাভাস দিয়েছিল। এমনকি কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হয়েছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকে সরাসরি কমতে পারে অর্থনীতির বহর। তবে পুরো অর্থবর্ষের ভিত্তিতে গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৮-০৯ সালেও সারা বিশ্ব মন্দার মুখোমুখি হয়েছিল। বৃদ্ধি নেমেছিল ভারতের। কিন্তু এ দফায় অর্থনীতি-সহ সর্বক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ছবি গত বার দেখা যায়নি।
এর মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট মহল থেকে সরকারের কাছে ত্রাণ প্রকল্পের দাবি উঠেছে। সরকারি সূত্রের খবর, আর্থিক সঙ্কটে থাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য নতুন করে ২ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্পের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র।
আশঙ্কা ও দাবি
• চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ১.৬%।
• আরও ৩ লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণের পরামর্শ স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের রিপোর্টে।
• ত্রাণের দাবি অ্যাসোচ্যাম, সিআইআইয়ের।
স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের রিপোর্ট অবশ্য বলছে, আরও ৩ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য ২০,০০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ দাবি করেছে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। সিআইআই আবার আর্থিক ভাবে নীচের স্তরের মানুষের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি তুলেছে। সাম্প্রতিক ত্রাণের পাশাপাশি আরও ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প চেয়েছে ফিকি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)