আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ছবি: সংগৃহীত।
মুকেশ অম্বানী বা জেফ বেজোস অথবা ইলন মাস্ক, সকলকেই ছাপিয়ে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। চলতি বছরে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে সম্পত্তি বাড়িয়েছেন তিনি। ব্লুমবার্গ বিলিয়োনেয়ার ইনডেক্স-এর মতে, ২০২১ সালে ১৬২০ কোটি থেকে তাঁর সম্পত্তির নিট মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে বেজোস বা মাস্ক-সহ বিশ্বের তাবড় শিল্পপতিদের টপকে গিয়েছেন আদানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়োনেয়ার ইনডেক্স-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে কেবলমাত্র ১টি ক্ষেত্র ছাড়া আদানি গোষ্ঠীর সবক’টি ব্যবসার শেয়ারের মূল্য ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে। কোনও কোনও ব্যবসায় আদানিদের মুনাফার হার ছাপিয়ে গিয়েছে ৯০ শতাংশও।
১ বছরের মধ্যে সম্পত্তির নিট মূল্য বৃদ্ধির নিরিখে আদানি ছাপিয়ে গিয়েছেন তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ তথা এশিয়ার ধনীতম রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর মুকেশ অম্বানীকেও। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অম্বানীর নামের পাশে রয়েছে ৮১০ কোটির মূল্যের সম্পত্তি। তবে আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখে তা-ও যেন কম বলে মনে হচ্ছে।
২০২১ সালে বিশ্বের ধনীতম শিল্পপতির তকমা নিয়ে জোর টানাটানি চলছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং টেসলা-র মালিক ইলন মাস্কের মধ্যে। ব্লুমবার্গের মতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বেজোসকেও এ ব্যাপারেও টেক্কা দিয়েছেন আদানি। ফরাসি বহুজাতিক সংস্থা টোটাল এসএ, নিউ ইয়র্কের ওয়ারবার্গ পিনকাস-এর মতো নামী ইক্যুইটি কোম্পানির থেকে বিনিয়োগ জুটিয়ে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। নিজের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে বন্দর, বিমানবন্দর, ডেটা সেন্টার থেকে কয়লা খনিও জুড়েছেন গৌতম। ব্যবসা বাড়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তার সম্প্রসারণ করেছেন। যা নজর কেড়েছে শিল্প ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা থেকে শুরু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। নাইকা অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সুনীল চণ্ডীরামানি বলেন, “বাজারে কঠিন ক্ষেত্র বলে পরিচিত এলাকাগুলিতেও নিজের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে প্রতিনিয়ত সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত করে গিয়েছেন আদানি। এ বার ডেটা সেন্টারের ব্যবসাতে পা রাখার পর আদানি গোষ্ঠীকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দেখা যাবে।”
চলতি বছরে কোন কোন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফার মুখ দেখেছে এই গোষ্ঠী? শেয়ার বাজারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে আদানি গ্যাস লিমিটেডের শেয়ার বেড়েছে ৯৬ শতাংশ। গোষ্ঠীর মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ এগিয়েছে ৯০ শতাংশ হারে। আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের শেয়ার ছুঁয়েছে ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি। অন্য দিকে, এই গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ, বন্দর বা গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে ৫২ শতাংশেরও বেশি মুনাফা হয়েছে।