রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের তৈরি চারটি শ্রম বিধি শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার বদলে তাঁদের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করে রাজ্য। তাই পশ্চিমবঙ্গে সেগুলি চালু হবে না, মঙ্গলবার জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।
বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের সভায় মলয়বাবু এবং শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অধিকাংশ বিধিই কোভিডের সময়ে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল আলোচনা না করে। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ দিন নানা সংগ্রামের মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে ২৯টি শ্রম আইন চালু করা হয়েছিল, নতুন শ্রম বিধি আনার নামে সেগুলি বিলোপ করেছে কেন্দ্র।’’
কী ভাবে নতুন বিধি শ্রমিকদের স্বার্থহানি করতে পারে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ঋতব্রত বলেন, দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ করাতে বাধ্য করা হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলিরও অভিযোগ, কেন্দ্র এমন ভাবে বিধিগুলি তৈরি করেছে যাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় শ্রমিক শ্রেণির উপকার হবে। কিন্তু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে কাজের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মজুরি, সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হবেন তাঁরা। কর্মী ছাঁটাইও আরও সহজ হবে। এমনকি আইন পরিবর্তন করতে হলে সংসদের মাধ্যমে না গিয়ে যাতে আমলারাই তা করতে পারেন, সেই সংস্থানও আছে। তারা আগেই এই চার বিধি রাজ্যে কার্যকর না করার আর্জি জানিয়েছিল।
কেন্দ্রের চার শ্রম বিধি হল— শিল্প সম্পর্ক বা ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড’, মজুরি সংক্রান্ত ‘কোড অন ওয়েজেস’, পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত ‘অকুপেশনাল সেফটি, হেল্থ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড’ এবং সামাজিক সুরক্ষা বা ‘সোশ্যাল সিকিয়োরিটি কোড’।
এ দিন মলয় ও ঋতব্রত জানান, বন্ধ হওয়া ডানলপ ও জেসপের কর্মীদের মাসে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি সব বন্ধ কল-কারখানার কর্মীদেরও মাসে ১৫০০ টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য।