ছবি: পিটিআই।
অর্থনীতির হাল ফেরাতে আরও এক দফা ত্রাণ প্রকল্প আনতে পারে অর্থ মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক কর্তার দাবি, এ নিয়ে আগামী কয়েক দিনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করতে পারেন। এর আগে তিন দফায় আবাসন, গাড়ি, রফতানি, ব্যাঙ্ক ও ছোট শিল্পের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপেও কিন্তু স্বস্তি মিলছে না শিল্প মহলের। তা আঁচ করেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ শিল্পকে আশ্বস্ত করে জানান, সরকার তাঁদের সমস্যা নিয়ে সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের সমস্যা, আশঙ্কা বুঝি। কিছু অনিশ্চয়তা আছে। কিন্তু কেন্দ্র সহানুভূতিশীল ও দুর্নীতিমুক্ত।’’ সেই সঙ্গে অমিতের যুক্তি, বিভিন্ন দেশে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়ার কিছুটা প্রভাব পড়েছে ভারতে। বিরোধীদের অভিযোগ, নোটবন্দি, তড়িঘড়ি জিএসটি চালু–সহ কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের ফলেই ক্রমশ ভেঙে পড়ছে পুরো আর্থিক ব্যবস্থা। এ দিন যেন তারই উত্তর দিয়ে অমিত বলেন, ‘‘জিএসটি নিয়ে প্রথমে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু আপনারাই বলুন, কোনও বড় জিনিস চালু করতে গেলে কি প্রথম দিকে সমস্যা হয় না?’’
এ দিকে, অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে কৃষি ও রফতানিতে কাঠামোগত সংস্কারের কথা বলেছেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির অস্ত্র বেশি করে ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রিন্সিপাল আর্থিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল। তাঁর মতে, ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর চেয়ে ঋণনীতির নানা অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ বেশি। যদিও সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি ছিল, কিছু ক্ষেত্রে ঋণনীতির ভূমিকা থাকলেও, বাকিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
এ দিকে সরকার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি বিরোধীদের। গাড়ি সংস্থা মহীন্দ্রার কারখানা ১৭ দিন বন্ধ থাকার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা আজ বলেন, অর্থনীতির এই ঝিমুনির দায় মোদী সরকার এড়াতে পারে না।