—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের মধ্যেই অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠিতে মজবুত অবস্থান ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় ভারতকে সাহায্য করবে বলে দাবি অর্থ মন্ত্রকের। তবে, বিশ্ব বাজারে তেলের মতো পণ্যের দামের ওঠাপড়া চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
এক রিপোর্টে মন্ত্রকের দাবি, দেশে সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ তৈরি বাড়ছে। মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে শহুরে বেকারত্ব কমেছে। বেড়েছে জনসংখ্যার নিরিখে কাজের অনুপাত। এ দিকে, এপ্রিলের ৪.৮৩% খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ১১ মাসে সর্বনিম্ন। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় স্থিতিশীল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে রয়েছে যথেষ্ট বিদেশি মুদ্রা।
তার উপরে গত অর্থবর্ষে এপ্রিল-ফেব্রুয়ারিতে সরকারি খরচ বৃদ্ধি এবং এ বছরে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে করা বিভিন্ন পরিকল্পনাও ভারতকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এপ্রিলে ভারতের রফতানি বৃদ্ধিও আশার আলো দেখাচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি, অর্থাৎ দেখতে গেলে অর্থনীতির প্রায় সমস্ত মাপকাঠিতেই মজবুত জায়াগায় দেশ।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, দেশে বেকারত্বের হার এখনও যথেষ্ট চড়া, যা নিয়ে ভোটের রাজনীতি সরগরম। রফতানি যতটা দ্রুতগতিতে বাড়বে বলে মনে করা হয়েছিল, তা হয়নি। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামালেও, এখনও খাদ্যপণ্যের চড়া দাম আমজনতার মাথাব্যথার কারণ। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ভাল বর্ষার হাত ধরে ফলনে উন্নতি হলে কমবে খাদ্যপণ্যের দর। ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।