এই অর্থবর্ষে বছরে আয়কর, কর্পোরেট কর থেকে ১৪.৪০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। প্রতীকী ছবি।
আয়কর, কর্পোরেট কর হোক কিংবা পেট্রল-ডিজ়েলের শুল্ক। চলতি বছরে মোদী সরকারের কর আদায় হচ্ছে ভালই। আর সেই সুবাদে অর্থ মন্ত্রক মনে করছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা যুঝতে সারে ভর্তুকি, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্যে ভর্তুকি বাড়াতে হলেও, তার জন্য বাড়তি ধার করতে হবে না সরকারকে।
চলতি অর্থবর্ষের আর তিন মাস বাকি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগামী আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করবেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে জনমুখী প্রকল্পে খরচ বাড়াতে হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই পরিস্থিতিতে সরকারের আয় কেমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্তের নেতৃত্বে শীর্ষ-কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের খবর, অর্থবর্ষের তিন মাস বাকি থাকতেই আয়কর ও কর্পোরেট কর থেকে লক্ষ্যমাত্রার ৮০% রাজকোষে চলে এসেছে। শুধু তা-ই নয়, এই অর্থবর্ষে বছরে আয়কর, কর্পোরেট কর থেকে ১৪.৪০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাস্তবে এখনও পর্যন্ত হয়েছে ১১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, সার্বিক ভাবেও কর বাবদ মোট ২৭.৫০ লক্ষ কোটি টাকা আসবে ধরা হয়েছিল। আশা, আয়কর, কর্পোরেট করের মতো উৎপাদন শুল্ক, আমদানি-রফতানি শুল্ক, জিএসটি থেকে আয় হবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। ফলে বছর শেষে কর খাতে সরকারের রোজগার ৩১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে। যা লক্ষ্যের থেকে ৪ লক্ষ কোটি বেশি।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বাজেটের অতিরিক্ত ৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচের প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, কর বাবদ আয় লক্ষ্যের তুলনায় যথেষ্ট বেশি হচ্ছে। তাই সার, খাদ্য ভর্তুকি খাতে খরচ বাড়লেও, কেন্দ্রকে বাড়তি ধার করতে হবে না। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে গত বছরের তুলনায় ১৮% বেশি আয় হয়েছে। যেখানে গত ফেব্রুয়ারির বাজেটে ৯.৬ শতাংশের মতো বেশি আয় হবে বলে ধরা হয়েছিল।