প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধের জোগান থেকে বহুতলের ফাটল মাপা— বিভিন্ন কাজে ড্রোনই হতে পারে সহজ অস্ত্র, মনে করে শিল্প মহল। তাদের দাবি, সেই কারণে আগামী দিনে ভারতে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এর ব্যবহার। যার হাত ধরে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। বিষয়টি আঁচ করে এ বার তাই ড্রোন ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তন বাঙালি সেনাকর্মী সঞ্জয় নাথ। ২০১১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত যিনি ড্রোন নিয়ন্ত্রণের কাজই করেছেন। যৌথ ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কো-অর্ডিনেটর প্রশান্ত নারায়ণ দত্তের দাবি, প্রস্তাব বিবেচনা করছেন।
ভারত চেম্বারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা বলছেন, ‘‘যে ভাবে পশ্চিমী দুনিয়ায় ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে, আশা করছি এখানেও তা হবে। বাড়বে চাকরির সুযোগও।’’ সঞ্জয়বাবুর দাবি, বিদেশে প্রত্যন্ত জায়গায় ওষুধ সরবরাহ, পুলিশের দফতর, বন বিভাগ, পুরসভা, বেসরকারি সংস্থা, সেতু থেকে বহুতল নির্মাণ— সর্বত্রই লাগছে ড্রোন। তাঁর কথায়, ‘‘তবে অনেকেরই এটি চালানোর প্রশিক্ষণ নেই। সরকারি বিধি সম্পর্কেও ধারণা অস্পষ্ট। তাই প্রশিক্ষণ জরুরি।’’ বেঙ্গল চেম্বারের তথ্যপ্রযুক্তি কমিটির চেয়ারপার্সন অর্ণব বসু অবশ্য মনে করেন, ড্রোনের ব্যবহার বাড়লেও, ভবিষ্যতে তার অপারেটারদের কতটা প্রয়োজন হবে সংশয় রয়েছে।