—প্রতীকী চিত্র।
চাহিদা এক থাকলেও বিশ্ব বাজারে দাম কমায় গত অর্থবর্ষে ভারতের অশোধিত তেল আমদানির খরচ কমল। আজ তেল মন্ত্রকের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেল জানিয়েছে, এই সময়ে ২৩.২৫ কোটি টন অশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। যা থেকে উৎপাদন করা হয়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের মতো পরিবহণ জ্বালানি। আমদানি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রায় সমান হলেও গত বছর ভারতকে মেটাতে হয়েছে ১৩,২৪০ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ সালের (১৫,৭৫০ কোটি ডলার) তুলনায় প্রায় ১৬% কম। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর রয়েছে ব্যারেলে ৯০ ডলারের আশেপাশে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত অর্থবর্ষে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমেছে। ফলে মাথা নামিয়েছে তার আমদানি খরচও। কিন্তু বছরের বেশিরভাগ সময়ে সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পাননি। দাম কমিয়ে সেই সুরাহা দেয়নি তেল সংস্থাগুলি। দাম কমার যে ইতিবাচক প্রভাব মূল্যবৃদ্ধির উপরে পড়তে পারত, সেই সুযোগও কাজে লাগানো যায়নি। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার ঠিক আগে পেট্রল ও ডিজ়েলের দাম লিটার প্রতি মাত্র ২ টাকা করে কমিয়েছে মোদী সরকার।
বিশেষজ্ঞদের অন্য অংশ মনে করাচ্ছে, গ্রীষ্মে তাপমাত্রা নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছনোর পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সে ক্ষেত্রে সেচ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজ়েলের ব্যবহার অন্যান্য বছরের চেয়ে বাড়তে পারে। পাশাপাশি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। এই ধারা জারি থাকলে আমদানি খরচ ফের বাড়তে পারে।