ইলন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সিইও পেয়ে যাবে মাইক্রোব্লগিং সংস্থা। ফাইল চিত্র ।
টুইটারের সিইও পদ আর ধরে রাখবেন না। সেই জায়গায় বসানোর জন্য এক যোগ্য মানুষকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টুইট করে এমনটাই জানালেন আমেরিকার ধনকুবের তথা টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক! আর ইলনের এই ঘোষণার পরই হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। টুইটারের পরবর্তী সিইও কে হতে চলেছেন, তা ইলনের টুইট থেকে স্পষ্ট না হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে। টুইটারের পরবর্তী সিইও-র নাম ঘোষণা না করলেও ইলন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সিইও পেয়ে যাবে মাইক্রোব্লগিং সংস্থা।
ইলন টুইটারে লেখেন, ‘‘আমি টুইটারের জন্য নতুন এক জন সিইও নিয়োগ করেছি। এই ঘোষণা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। ৬ সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করবেন নতুন সিইও।’’
তা হলে কি টুইটারের সব দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন ইলন? উত্তর দিয়েছেন নিজেই। ইলন জানিয়েছেন, তিনি সিইও-র চেয়ারে না বসলেও অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব সামলাবেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘সিইও না থাকলেও আমি সংস্থার কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সিটিও হিসাবে কাজ করে যাব। টুইটারের কাজকর্ম এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারের দিকেও আমার নজর থাকবে।’’
ইলন কাকে টুইটারের পরবর্তী সিইও হিসাবে বেছে নিয়েছেন, তা তাঁর টুইট থেকে স্পষ্ট না হলেও একাধিক নাম উঠে এসেছে সমাজমাধ্যমে। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়েছে, কমকাস্টের এনবিসিইউনিভার্সালের শীর্ষ বিজ্ঞাপনী কর্মকর্তা লিন্ডা ইয়াকারিনো হতে চলেছেন টুইটারের পরবর্তী সিইও। যদিও ইলন বা লিন্ডা, কেউই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গত মাসেই মায়ামিতে একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে মাস্কের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লিন্ডা। সেখানে লিন্ডার সঙ্গে আলাপের পর ইলন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জল্পনা উঠেছে।
লিন্ডা ছাড়াও আর বেশ কয়েকটি নাম টুইটারের পরবর্তী সিইও হিসাবে উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ইয়াহুর প্রাক্তন সিইও মরিসা মায়ার, প্রাক্তন ইউটিউব সিইও সুসান ওয়াজ়সিকি এবং মাস্কের স্টার্টআপ সংস্থা নিউরালিঙ্কের শীর্ষ কর্তা শিভন জিলিস অন্যতম। উঠে এসেছে, ইলনের মহাকাশযান গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গুয়েন শটওয়েল এবং টেসলা-এর চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোমের নামও।
প্রসঙ্গত, মাস্ক অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন যে, টুইটারের সিইও পদ ছাড়তে চান তিনি। আপাতত তিনি শুধুমাত্র টেসলা সংস্থার দিকে মন দিতে চান বলেও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে টুইটার কিনে নেন ইলন। টুইটারের মালিকানা হাতে আসার প্রথম দু’সপ্তাহের মধ্যেই তিনি সংস্থার কার্যপ্রণালীতে একাধিক রদবদল করেন। সরিয়ে দেওয়া হয় তৎকালীন সিইও পরাগ আগরওয়াল-সহ অন্য শীর্ষ কর্তাদের। ছাঁটাই করা হয়েছিল বহু কর্মীকেও।